তড়িৎযোজী বন্ধন কাকে বলে? তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য কি: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “তড়িৎযোজী বন্ধন কাকে বলে? তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য কি” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
তড়িৎযোজী বন্ধন কাকে বলে? তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য কি
যে আকর্ষণ বলের প্রভাবে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন গুলি একত্রিত হয়ে যৌগ অণু গঠন করে তাকে আয়নীয় বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন বলে।
তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য (Difference between electrovalent compounds and covalent compounds)
তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ–
তড়িৎযোজী যৌগ
১) তড়িৎযোজী যৌগ সাধারণত বিপরীত তড়িৎধর্মী ধাতব ও অধাতব মৌলের মিলনে গঠিত হয়।
২) ধাতব ও অধাতব পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন ও গ্ৰহণের মাধ্যমে আয়নে পরিণত হয়ে তড়িৎ আকর্ষণে তড়িৎযোজী যৌগ অণু গঠন করে।
৩) গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে অর্থাৎ তড়িৎ বিশ্লেষ্য।
৪) তড়িৎযোজী বন্ধন দৃঢ় নয় এবং বন্ধনের নির্দিষ্ট অভিমুখ নেই।
৫)এদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়।
৬) সাধারণত জলে দ্রাব্য কিন্তু জৈব দ্রাবকে অদ্রাব্য।
৭) সাধারণ উষ্ণতায় কঠিন, কেলাসাকার পদার্থ।
৮) এদের গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি।
৯) সমাবয়বতা ধর্ম নেই।
১০) কঠিন ও ভঙ্গুর।
সমযোজী যৌগ
১) সমযোজী যৌগ সাধারণত অপরা তড়িৎধর্মী অধাতব মৌল গুলির মিলনে গঠিত হয়।
২) অধাতব পরমাণু গুলি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে পরস্পর যুক্ত হয়ে সমযোজী যৌগ অণু গঠন করে।
৩) সাধারণ উষ্ণতায় তরল বা গ্যাসীয়।
৪) এদের গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক কম।
৫) সাধারণত জলে অদ্রাব্য কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রাব্য।
৬) মোমের মতো নরম।
৭) গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না অর্থাৎ তড়িৎ অবিশ্লেষ্য।
৮) এদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া মন্থর গতিতে হয়।
৯) সমযোজী বন্ধন দৃঢ় এবং বন্ধনের নির্দিষ্ট অভিমুখ আছে।
১০) সমাবয়বতা ধর্ম আছে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে তড়িৎযোজী বন্ধন কাকে বলে? তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য কি বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।