রাসায়নিক সার কাকে বলে: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “রাসায়নিক সার কাকে বলে” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
রাসায়নিক সার কাকে বলে
কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস প্রভৃতি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক পদার্থ, যা মাটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে, তাকে রাসায়নিক সার বলে।
রসায়ন বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ইলেকট্রন আকর্ষী বিকারক কি?
উত্তরঃ বিক্রিয়াকালে যেসব বিকারকের ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কার্বানায়ন বা এর ইলেকট্রনের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং বিক্রিয়াকালে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে ইলেকট্রন আকর্ষী বিকারক বা ইলেকট্রো ফাইল বলে।
প্রশ্ন-২। নিউক্লিয়ার ফিউশান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় উচ্চ তাপমাত্রায় দুটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং এর ফলে বিপুল পরিমাণ তাপশক্তির উদ্ভব হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিউশান বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-৩। নীলকান্তমণি কাকে বলে?
উত্তরঃ 98% (Al₂O₃) আলুমিনিয়াম অক্সাইড, 1.5% ফেরোসোফেরিক অক্সাইড (Fe₃O₄) এবং 0.5% টাইটানিয়াম অক্সাইড (TiO₂) এর মিশ্রণ নীল বর্ণের হয়, তখন তাকে নীলকান্তমণি বা সেফায়ার স্টোন বলে।
প্রশ্ন-৪। মেন্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্র কি?
উত্তরঃ ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী হেনরি মোসলে পারমাণবিক সংখ্যা আবিষ্কারের পর মেন্ডেলিফ তার পর্যায় সূত্র সংশোধন করেন। সূত্রটি হচ্ছে- “মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়”।
প্রশ্ন-৫। সার হিসেবে ইউরিয়া এর সুবিধা– ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কঠিন সারের মধ্যে একমাত্র ইউরিয়াতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সর্বাধিক (46%) থাকে। অর্থাৎ, ইউরিয়া একটি ঘন সার। তাছাড়া এর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। এতে কোনো ক্ষতিকারক বস্তু নেই। ইউরিয়া উদ্ভিদের পাতার গাঢ় সবুজ রং সৃষ্টিতে সহায়তা করে যা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে বায়ু হতে উদ্ভিদের খাদ্য সরবরাহে প্রধান ভূমিকা পালন করে। ইউরিয়া সকল প্রকার মাটিতে এবং সকল প্রকার শস্যের জন্যই অতি ফলপ্রসূভাবে ব্যবহার করা যায়। তাই, ইউরিয়া সার হিসেবে অতি সুবিধাজনক।
প্রশ্ন-৬। মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতার সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধনের শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে কোন পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে অধিক আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে ঐ পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়। অধাতুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি এবং তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম। ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি, তারপর অক্সিজেন, ক্লোরিন, নাইট্রোজেন পরমাণুর স্থান।
প্রশ্ন-৭। ইমালশন কি?
উত্তরঃ ইমালশন হচ্ছে দুই বা ততোধিক তরল পদার্থের মিশ্রণ যেগুলো পরস্পর মিশ্রণীয় নয়। এগুলো দুই দশাবিশিষ্ট কোলয়েড জাতীয় পদার্থ।
প্রশ্ন-৮। জিটেক্স গ্লোভস কি?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে ছোটখাটো জলন্ত বস্তু নিয়ে কাজ করার সময় অ্যাসবেস্টস গ্লোভসের বিকল্পরূপে যে ক্যান্সার প্রতিরোধী গ্লোভস ব্যবহৃত হয় তাকে জিটেক্স গ্লোভস বলে।
প্রশ্ন-৯। সবুজ রসায়ন কি?
উত্তরঃ সবুজ রসায়ন হলো রসায়নের একটি বিশেষ শাখা যেখানে কোনো রাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকসই এবং নিরাপদ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশ্ন-১০। গ্লাস ক্লিনারের উপাদানগুলো কি?
উত্তরঃ গ্লাস ক্লিনারের উপাদানগুলো হলো লিকার অ্যামোনিয়া, রাবিং অ্যালকোহল (আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল), ভিনেগার, সিলিকন, ওয়েটিং এজেন্ট (Surfactant), রং ও পানি।
১১। পাই চার্ট কি? What is Pie chart?
উত্তর : যে বৃত্তাকার চিত্রের দ্বারা কোন তত্ত্ব উপাত্তকে শতকরা হারের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় তাকে পাই চার্ট বলে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে রাসায়নিক সার কাকে বলে বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।