সুতার টুইস্ট বা পাক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “সুতার টুইস্ট বা পাক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
সুতার টুইস্ট বা পাক কাকে বলে?
সুতা তৈরির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কতগুলো ফাইবারকে যে মোচড় দেয়া হয় তাকে পাক বা সুতার টুইস্ট বলে।
সুতার টুইস্ট বা পাক কত প্রকার ও কি কি?
সুতার পাক দুই প্রকারঃ
(ক)জেড টুইস্ট
(খ)এস টুইস্ট
(১) জেড টুইস্ট কি?
এটি ঘড়ির কাঁটার ঘোরার দিকে সংগঠিত হয়, যা ইংরেজি Z অক্ষরের মতো।
(২) এস টুইস্ট কি?
এটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে সংগঠিত হয়, যা ইংরেজি S অক্ষরের মতো।
পাক তত্ত্বের ব্যাখ্যা
সুতার শক্তি বৃদ্ধি সুতার পাক প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য। সুতার শক্তি বৃদ্ধি করলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফাইবারকে একত্রে ধরে রাখা যায়।
তাই আমরা খুব সহজেই পাক খুলতে পারি না। আর এ কারণে পাক প্রদানের ফলে ফাইবারগুলো সুতার অক্ষের সাথে কোনাকুনি অবস্থান নেয়, যাকে বলা হয় টুইস্ট অ্যাঙ্গেল।
যার কারণে সুতার উপর বাহিরের বল কাজ করে। আর এই বল দুটি সুতার মধ্যে কোনটির উপর প্রভাব ফেলবে তা পাকের কোণের উপর নির্ভর করে থাকে। সুতার পাক যত কম হবে সুতার ভেতরের সংযোগ প্রবণতা তত কম হবে।
আর টুইস্ট অ্যাঙ্গেল যত বেশি হবে সুতার শক্তি তত বেশি হয়।কিন্তু পরিক্ষা করে দেখা যায় যে, সুতার পার্থক্য ভেদে একটি সীমা পর্যন্ত সুতার শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আর সুতার এ সর্বোচ্চ শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া কে ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট বলে। আর ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের কারণে সুতার শক্তি তুলনামূলক ভাবে কমতে থাকে।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, সুতার শক্তির সাথে ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের ভূমিকা অপরিসীম।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে সুতার টুইস্ট বা পাক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।