ভৌত অবস্থা কাকে বলে?[2023]

ভৌত অবস্থা কাকে বলে:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ভৌত অবস্থা কাকে বলে” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

ভৌত অবস্থা কাকে বলে?

কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পদার্থসমূহ কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। এদেরকে ভৌত অবস্থা বলে

রসায়ন  বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

১। জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : জীবদেহে যেসব রূপান্তর বা পরিবর্তন সাধিত হয়, তাদেরকে জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়া বলে।

২। ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্ব কি?

উত্তর : কোনো চার্জযুক্ত বস্তু বা কণা কোনো বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকলে তা ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ করবে এবং তার আবর্তনচক্রও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। এটিই ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্ব।

৩। অ্যামোনিয়া একটি লুইস ক্ষারক ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : লুইস মতবাদ অনুসারে, ক্ষারক হলো একটি যৌগ বা আয়ন যা অন্য পদার্থকে ইলেকট্রন যুগল দান করতে পারে। 

অ্যামোনিয়া (NH3) একটি লুইস ক্ষার। কারণ এটি লুইস এসিড যেমন— BCl3 এর সাথে বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন জোড় দান করতে পারে।

৪। পুনর্বিন্যাস বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে বিক্রিয়ায় একই অণুতে বিদ্যমান কোন পরমাণু বা মূলক পুনর্বিন্যস্ত হয়ে নতুন এক অণুতে পরিণত হয় তাকে পুনর্বিন্যাস বিক্রিয়া বলে।

৫। ডিসচার্জ কাকে বলে?

উত্তর : কোষ বা ব্যাটারির ব্যবহারের সময় রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হওয়াকে ডিসচার্জ বলে।

৬। তুল্য বিন্দু কাকে বলে?

উত্তর : এসিড-ক্ষার প্রশমন টাইট্রেশনকালে যে বিন্দুতে এসে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত হয় তাকে তুল্য বিন্দু বলে।

৭। টিউবওয়েলের মুখে লাল বা সবুজ রং করা থাকে কেন?

উত্তর : টিউবয়েলের পানিতে আর্সেনিক পেলে ঐ টিউবয়েলের মুখে লাল রং করা হয়। কারণ আর্সেনিক বিষাক্ত তাই এর পানি পান থেকে বিরত রাখার জন্য।

 আবার যদি টিউবয়েলের পানিতে আর্সেনিক না থাকে তাহলে তার মুখে সবুজ রং করা হয়। সবুজ রং দেখে আমরা বুঝতে পারি যে, এই টিউবয়েলের পানি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং পানযোগ্য।

৮। pH এর মান 0 থেকে কম বা 14 থেকে বেশি হতে পারে কী?


উত্তর : pH স্কেলের ধারণাটি আসলে লঘু দ্রবণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যা, স্কেলের পরিধি অনুসারে 0 থেকে 14 পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু, দ্রবণে H+ আয়নের ঘনত্ব 1 গ্রাম আয়ন/লিটার এর বেশি হলে দ্রবণের pH, 0 থেকেও কম বা ঋণাত্মক হতে পারে।

 অন্যদিকে, একইভাবে OH- আয়নের ঘনত্ব 1 গ্রাম আয়ন/লিটার এর বেশি হলেও pH এর মান 14 এর চেয়ে বেশি হতে পারে।

তাই যদিও, pH এর 0-এর কম মান বা 14 এর বেশি মানের কোনো ব্যবহার নেই, তথাপি উপরোক্ত দুটি ক্ষেত্রে pH এর মান এরূপ হতে পারে।

৯। পাকস্থলীর সমস্যায় এসিডীক ঔষধ সেবন করলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?

উত্তর : কোন ঔষধ সেবন করলে তা যত দ্রুত মাংসপেশী দ্বারা শোষিত হয়, ঔষুধ তত তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারে। পাকস্থলীতে pH মান সাধারণত 1.4 - 2.4। তাই পাকস্থলীতে ক্ষারীয় কোনো জলীয় দ্রবণ শোষিত হবে খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু, ঔষধ এর দ্রবণটি এসিডীয় হলে তা সহজে পাকস্থলী গাত্রে শোষিত হবে না এবং তা পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে বদহজম তৈরি করতে পারে।


১০। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পরিবেশ বান্ধব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে সামগ্রিক বিক্রিয়ায় উপজাত হিসাবে পানি উৎপন্ন হয় যা অত্যন্ত বিশুদ্ধ। উৎপন্ন পানি পুনরায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কোনোরূপ শব্দ দূষণ বা পানীয় দূষণ হয় না বলে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পরিবেশ বান্ধব।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ভৌত অবস্থা কাকে বলে বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন