পেইন্টের বিবরণ [২০২৩]

আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “পেইন্টের বিবরণ”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:

পেইন্টের বিবরণ

এক বা একাধিক কঠিন পদার্থ তরল বাহন বা মাধ্যমে মিশ্রিত করে পেইন্ট বা রঙ প্রস্তুত করা হয়। এতে রঞ্জক অর্থাৎ কাঙ্ক্ষিত বর্ণ প্রদানকারী উপাদান তরল পদার্থ এবং শুষ্ককারী পদার্থ আছে। পিগমেন্ট ও বাইন্ডার এর তরল দ্রবনকে পেইন্ট বলে।

পেইন্টের উপাদানঃ

• মুল উপাদানঃ হোয়াইট লেড, জিঙ্ক হোয়াইট, আয়রণ অক্সাইড, গ্রাফাইট, লিথোপেন, এন্টিমনি হোয়াইট ইত্যাদি।

• বাহনঃ তিষির তৈল, বাদাম তৈল, সয়াবিন তৈল, টাংগওইয়েল, কাস্টার ওয়েল ইত্যাদি।

• শুস্কীকরঃ লেড মনোক্সাইড, লেড এসিটেট, ম্যাংগানিজ ডাই-অক্সাইড, জিঙ্ক সালফেট, ম্যাংগানিজ সালফেট ইত্যাদি।

• দ্রাবকঃ তারপিন তৈল, দ্রবণীয় ন্যাপথা ইত্যাদি।

• রঞ্জকঃ হোয়াইট লেড, ব্লু লেড, ক্রোম গ্রিন, ক্রোম ইয়োলো, আম্বার, রেড লেড, কার্বন ব্লাক ইত্যাদি।

উত্তম পেইন্টের গুনাগুনঃ

• ইহা উজ্জ্বল পৃষ্ঠ প্রদান করবে।

• ভাল পেইন্ট শক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী পৃষ্ঠের সৃষ্টি করবে।

• ভাল পেইন্ট সহজে এবং মুক্তভাবে পৃষ্ঠদেশের উপর প্রয়োগ করা যাবে।

• প্রতি একক পরিমান পেইন্টে আচ্ছাদান ক্ষমতা সেশি থাকবে।

• শুকানোর পরে সমবর্ণের স্তর প্রদান করবে।

• ভাল পেইন্ট সুলভ ও সহজ প্রাপ্য হবে।

• দীর্ঘদিন যাবত উজ্জলতা প্রদান করবে।

• ইহা অগ্নিরোধী এবং আর্দ্রতারোধী হবে।

• ভাল পেইন্ট তাড়াতাড়ি শুকাবে না কিংবা আস্তে আস্তে শুকাবে না।

• শুকানোর পরে পৃষ্ঠতলে কোন সুক্ষন ফাটল দেখা দিবে না।

• ইহা আবহাওয়া জনিত ক্ষয়রোধী হবে।


ভারনিশের বিবরণঃ

ভারনিশ এক প্রকার সুরক্ষাকারী স্বচ্ছ আবরক পদার্থ যা সাধারণত কাঠের পৃষ্টতলে প্রয়োগ করা হয়। তারপিন তৈল বা এলকোহল (স্পিরিট) এ রিজিন বা গালা জাতীয় পদার্থ (রজন, আম্বার, কোপাল, পাতগালা ইত্যাদি) এর মিশ্রিত দ্রবণকে ভারনিশ বলে।

ভারনিশের উপাদানঃ

• রেজিনঃ কোপাল, শেলাক রজন, আম্বর, ডেমার, ম্যাপ্টিক, গম ইত্যাদি।

• শুষ্ককারীঃ ন্যাপথা, সিদ্ধ তিসির তৈল, তারপিন তৈল।

• দ্রাবকঃ নিরথাজ, শ্বেত কপার, লেড এসিটেট।

উত্তম ভারনিশের গুণাগুণঃ

• পৃষ্ঠের প্রকৃত রুপ ফুটিয়ে তোলে।

• পৃষ্ঠতল দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং শক্ত আবরণ সৃষ্টি করে।

• আবহক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।

• পৃষ্ঠতল সমবর্ণের ও সৌন্দর্য মন্ডিত হয়।

• পৃষ্ঠতলে কোন চিড় বা ফাটল দেখা যায় না।

• পৃষ্ঠতল টেকসই, দীর্ঘস্থায়ী ও ক্ষয়রোধী হয়।

• পৃষ্ঠের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।

• কাঠের আঁশের প্রকৃত অবস্থা দেখা যায়।

আশা করি আপনারা পেইন্টের বিবরণ, টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন