আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “বাসা বা অফিস ভাড়া নেওয়ার পুর্বে করণীয়”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:
বাসা বা অফিস ভাড়া নেওয়ার পুর্বে করণীয়
বাসা বা অফিস ভাড়া নেওয়ার পুর্বে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে কিছু করণীয় কাজ রয়েছে, যা ভাড়া নেওয়ার পুর্বে সেরে রাখলে পরে কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। নিচে কিছু করণীয় দিক তুলে ধরা হল :
# বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি নামা স্বাক্ষর হবে। যাতে থাকবে-
ক) চুক্তির/ভাড়ার মেয়াদ
খ) বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার নাম ,ঠিকানা, উভয় পক্ষের মোবাইল নাম্বার
গ) ভাড়ার নিয়মাবলী বা চুক্তির শর্ত সমূহ
ঘ) ভাড়ার মুল্য বা টাকার পরিমাণ এবং প্রদানের শেষ তারিখ
ঙ) ডিপোজিট মানি/সিকিউরিটি অর্থ
চ) “অগ্রিম ভাড়া” যা সাধারনত মূল ভাড়ার এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে (বাসার ক্ষেএে, অফিসের ক্ষেএে অনেক বেশি হতে পারে চুক্তির ধরণ বুঝে) এবং পরবর্তীতে ফেরৎযোগ্য। কিন্তু বাড়ির কোন ক্ষতি সাধিত হলে বাড়ির মালিক ক্ষতির সমপরিমাণ মূল্য অগ্রিম জমা টাকা থেকে কেটে রাখতে পারবেন, অথবা ভাড়া শুরুর মাস হতে পরবর্তী মাস গুলোর জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাড়া হিসেবে কেটে রাখতে পারেন আবার তা সম্পূর্ণ জামানত রেখে দিতে পারেন ।
ছ) মূল গেটের চাবি : বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াকে প্রয়োজন বুঝে মূল গেটের একটি চাবি বুঝিয়ে দিবেন,
জ) বিদ্যুতের মিটার রিডিং : নতুন বাসা বা অফিসে উঠার পূর্বে প্রতি ভাড়াটিয়ার জন্য আলাদা আলাদা যে বৈদ্যতিক মিটার থাকে তার বর্তমান রিড়িং এর পরিমাণ বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া উভয়কে লিখে রাখতে হবে পরবর্তী মাসের বিদ্যুৎ বিল হিসেবের জন্য।
বিবিধ : গ্রিজার, ইলেক্ট্রিক লাইন,পানির মিটার, গ্যাস,ময়লা ফেলা বা দারোয়ান রাখা ইত্যাদি সম্পর্কে ভাড়াটিয়াকে বাড়িওয়ালা পূর্বে বলে দিবে।
আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে ভাড়াটিয়াকে বাড়িওয়ালা অবহিত করবেন এবং ভাড়াটিয়া সম্পর্কে প্রয়োজন বোধে বাড়িওয়ালা প্রাপ্য তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিবেন।
আশা করি আপনারা বাসা বা অফিস ভাড়া নেওয়ার পুর্বে করণীয়, টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।