সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান [2023]

সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান

সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। তরঙ্গ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ (Wave) বলে।

প্রশ্ন-২। শব্দ কোন ধরনের তরঙ্গ?

উত্তরঃ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।

প্রশ্ন-৩। শব্দের বেগ কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি?

উত্তরঃ কঠিন।

প্রশ্ন-৪। কোনটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের উদাহরণ?

উত্তরঃ স্প্রিং-এ সৃষ্ট তরঙ্গ।

প্রশ্ন-৫। SONAR এর পুরো নাম কি?

উত্তরঃ Sound navigation And Ranging (সাউন্ড নেভিগেশান এন্ড রেঞ্জিং)।

প্রশ্ন-৬। স্পন্দন গতির দিক কয়মুখী?

উত্তরঃ ২।

প্রশ্ন-৭। যান্ত্রিক তরঙ্গ কাকে বলে?

উত্তরঃ কঠিন, তরল বা বায়বীয় মাধ্যমে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে।

প্রশ্ন-৮। তরঙ্গ বেগ কাকে বলে?

উত্তরঃ তরঙ্গ নির্দিষ্ট দিকে একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে।

প্রশ্ন-৯। বিস্তার কাকে বলে?

উত্তরঃ তরঙ্গ সঞ্চালনকারী কোনো কণা সাম্যাবস্থান থেকে যে কোনো একদিকে সর্বাধিক যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গের বিস্তার বলে।

প্রশ্ন-১০। পর্যায়কাল কী?

উত্তর : তরঙ্গ সঞ্চারণকারী কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন হতে যে সময় লাগে তাকে পর্যায়কাল বলে।

প্রশ্ন-১১। প্রতিধ্বনি কী?

উত্তর : প্রতিফলনের ফলে মূল শব্দের অনুরূপ যে ধ্বনি শোনা যায় তাকে প্রতিধ্বনি বলে।

প্রশ্ন-১২। নয়েজ শব্দ কী?

উত্তর : যে শব্দ আমাদের কানে বিরক্তির সৃষ্টি করে তাকে নয়েজ শব্দ বলে।

প্রশ্ন-১৩। শব্দ দূষণ কি?

উত্তর : শব্দের আধিক্য আমাদের দেহ ও মনের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাকেই শব্দ দূষণ বলা হয়।

প্রশ্ন-১৪. আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা কত?

উত্তর : আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা 20Hz – 20,000Hz।

প্রশ্ন-১৫. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য SONAR নামক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১৬. S.I. পদ্ধতিতে কম্পাঙ্কের একক কি?

উত্তর : S.I. পদ্ধতিতে কম্পাঙ্কের একক হার্জ (Hz)।

প্রশ্ন-১৭. তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কী?

উত্তর : তরঙ্গ সঞ্চারণকারী কোন কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হতে যে সময় লাগে, সেই সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।

প্রশ্ন-১৮. দশা কি?

উত্তর : তরঙ্গ সঞ্চারণকারী কোন কণার যে কোন মুহূর্তের গতির সম্যক অবস্থাকে তার দশা বলে।

প্রশ্ন-১৯. কম্পাঙ্কের S.I. একক কি?

উত্তর : কম্পাঙ্কের S.I. একক হচ্ছে Hz।

প্রশ্ন-২০. প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যে নূন্যতম দূরত্ব কত হওয়া প্রয়োজন?

উত্তর : প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যে নূন্যতম দূরত্ব 16.6 m হওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন-২১. কম্পাঙ্কের মাত্রা কি?

উত্তর : কম্পাঙ্কের মাত্রা হচ্ছে [T-1]।

প্রশ্ন-২২. হার্জ (Hz) এর সংজ্ঞা লিখ।

উত্তর : তরঙ্গ সঞ্চারণকারী কোন কণা 1s-এ 1টি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করলে এর কম্পাঙ্ককে 1Hz বলে।

প্রশ্ন-২৩. আমরা যে শব্দ শুনি তার রেশ কতক্ষণ আমাদের মস্তিষ্কে থাকে?

উত্তর : আমরা যে শব্দ শুনি তার রেশ 1s সেকেন্ড পর্যন্ত আমাদের মস্তিষ্কে থাকে।

প্রশ্ন-২৪। শব্দের উৎপত্তির মূল কারণ কী?

উত্তরঃ শব্দের উৎপত্তির মূল কারণ কম্পন। কম্পনের ফলেই শব্দ সৃষ্টি হয় যা কিনা অবিচ্ছিন্ন ও স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের ভেতর দিয়ে তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয়ে আমাদের কানে পৌঁছে শ্রবণের অনুভূতি জাগায়।

প্রশ্ন-২৫। দশা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো একটি তরঙ্গায়িত কণার যেকোনো মুহূর্তের গতির সামগ্রিক অবস্থা প্রকাশক রাশিকে তার দশা বলে।

প্রশ্ন-২৬। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কী?

উত্তরঃ তরঙ্গ সঞ্চালণকারী কোনো কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হতে যে সময় লাগে, সেই সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে।

প্রশ্ন-২৭। ডেসিবেল স্কেল কাকে বলে?

উত্তরঃ যে স্কেলের সাহায্যে মানুষের শ্রবণযোগ্য শব্দের অতিক্ষুদ্র পরিবর্তন পরিমাপ করা হয় তাকে ডেসিবেল স্কেল বলে। 

এই স্কেল অনুসারে ২০ ডেসিবেল একটি শব্দ ১০ ডেসিবেল শব্দ অপেক্ষা ১০ গুণ বেশী তীব্র হয় এবং ৩০ ডেসিবেল শব্দ ১০০ গুণ বেশি তীব্র হয়।

প্রশ্ন-২৮। বাদুর কীভাবে চলাচল করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ শব্দের প্রতিধ্বনির সাহায্যে বাদুর পথ চলে। বাদুর চোখে দেখে না। বাদুর শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করতে পারে এবং শুনতেও পারে। বাদুর শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করে সামনে ছড়িয়ে দেয়। 

ঐ শব্দ কোনো প্রতিবন্ধকে বাধা পেয়ে আবার বাদুরের কাছে চলে আসে। ফিরে আসা শব্দ শুনে বুঝতে পারে সামনে কোনো বস্তু আছে। 

কিন্তু বাধা পেয়ে শব্দ ফিরে না এলে এটি বুঝতে পারে সামনে ফাঁকা জায়গা আছে, তখন সেই পথ বরাবর এটি উড়ে চলে।

অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

  • উত্তরঃ অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
  • অনুপ্রস্থ তরঙ্গ
  • যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের দিকের সঙ্গে সমকোণে অগ্রসর হয়, তাকে  অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে।
  • মাধ্যমে তরঙ্গশীর্ষ ও তরঙ্গপাদ উৎপন্ন করে সঞ্চালিত হয়।
  • একটি তরঙ্গশীর্ষ ও একটি তরঙ্গপাদ নিয়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য গঠিত।
  • উদাহরণ— পানির তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ ইত্যাদি।

অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ

  • যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো স্পন্দনের দিকের সঙ্গে সমান্তরালে অগ্রসর হয়, তাকে  অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।
  • সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে তরঙ্গ সঞ্চালিত হয়।
  • একটি সংকোচন ও একটি প্রসারণ নিয়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য গঠিত।
  • উদাহরণ— স্প্রিং তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ ইত্যাদি।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে সপ্তম অধ্যায় : তরঙ্গ ও শব্দ, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন