যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে? : আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে? ” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে?
যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো তথ্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology) বলে।
কাজেই কমিউনিকেশন বা যােগাযােগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একস্থান (উৎস) হতে অন্যস্থানে (গন্তব্য) নির্ভরযােগ্যভাবে ডেটা বা উপাত্ত আদান-প্রদান সম্ভব।
ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যােগাযােগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনােলজি বলা হয়। টেলিফোন, মােবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি এই প্রযুক্তির উদাহরণ।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমানে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে বদলে গেছে যোগাযোগের ধরণ। ব্রডকাস্ট পদ্ধতির সাহায্যে রেডিও বা টেলিভিশন যোগাযোগের অন্যতম প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক কাগজ ও ম্যাগাজিন ব্রডকাস্ট যোগাযোগের উদাহরণ। দ্বিমুখী যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট বর্তমানে বহুল প্রচলিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের নতুন একটি পরিচয় হলো ই-মেইল এড্রেস।
কয়েকটি অক্ষর দিয়ে একটি ই-মেইল এড্রেস তৈরি হয় এবং এটি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যোগাযোগ করা যায়। পৃথিবীর মানুষের ভেতর এখন যোগাযোগের বেশির ভাগই হয়ে থাকে ই-মেইলের সাহায্যে।
আজকাল সামাজিক যোগাযোগের নতুন একটি বিষয় শুরু হয়েছে। এটি একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দুইমুখী ব্যক্তিগত যোগাযোগ। এই সামাজিক নেটওয়ার্ক করে আজকাল একজন একসাথে অনেকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, সংগঠিত হতে পারে।
কাজেই তথ্যপ্রযুক্তি সারা পৃথিবীর সকল মানুষের ভেতর যোগাযোগটা বাড়িয়ে দিয়ে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে শুরু করেছে। যেখানে ভার্চুয়াল (Virtual) জগতে সবাই সবার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
যোগাযোগ প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইটের ভূমিকা : পৃথিবীর এক দেশে থেকে অন্য দেশে তথ্য আদান-প্রদানে স্যাটেলাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে রেডিও, টেলিফোন, মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাঠানো যায়।
এর ফলে মানুষ যেকোনো সময় অন্য প্রান্তে অবস্থানকারী ব্যক্তি বা যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। বিভিন্ন দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সহজে এখন অন্যদেশে দেখার সুযোগ তৈরি হয়।
এতে করে সেই দেশের বিভিন্ন সংবাদ ও সংস্কৃতির তথ্য অন্যদেশে মানুষ জানতে পারে। এখন মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করে অন্য দেশের নাগরিকের সাথে যোগাযোগ যায়।
এমনকি মহাশূন্যে অবস্থানকারী যন্ত্রের সাথে তথ্য আদান-প্রদানে স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয় যা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের পক্ষে সম্ভব নয়। এভাবেই যোগাযোগ প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট ভূমিকা পালন করে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।