ড্রেসিং কাকে বলে? ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ড্রেসিং কাকে বলে? ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ড্রেসিং কাকে বলে? ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ কি কি?
ক্ষতস্থানকে জীবাণুমুক্ত বা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াকে ড্রেসিং (Dressing) বলে। এর জন্য পরিষ্কার কাপড়, গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, সেভলন প্রভৃতি প্রয়োজন। ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ হলো—
১. রোগীকে শুইয়ে ক্ষতস্থান সামনে তুলে ধরতে হবে।
২. ক্ষতস্থানের নিচে পরিষ্কার কাপড় পেতে দিতে হবে।
৩. সেবাদানকারীকে তার নিজের হাত দুটি পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৪. জীবাণুমুক্ত তুলা দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৫. ক্ষতের চারপাশ স্পিরিট বা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৬.ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার সময় কেন্দ্রের দিক থেকে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে কোনো ময়লা ক্ষতস্থানে গড়িয়ে না আসে।
৭. ক্ষতস্থানে কখনো হাত লাগানো যাবে না।
৮. জীবাণুমুক্ত তুলা বা গজে অ্যান্টিসেপটিক পাউডার বা মলম লাগিয়ে ক্ষতস্থানে চাপ দিতে হবে।
৯. টিংচার আয়োডিন, স্পিরিট, পটাশ পারম্যাঙ্গানেট প্রভৃতি ক্ষতে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে দেহের টিস্যুগুলোর ক্ষতি হয়। তবে ক্ষতের চারপাশ পরিষ্কার করতে এগুলো কাজে লাগে।
১০. প্রাথমিক চিকিৎসকের ব্যাগে সব সময় স্টেরাইল তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, কাঁচি ও প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ড্রেসিং কাকে বলে? ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ কি কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।