অনুবন্ধী এসিড ও অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “অনুবন্ধী এসিড ও অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
অনুবন্ধী এসিড ও অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর
অনুবন্ধী এসিড কাকে বলে?
কোনো ক্ষারকের সাথে একটি প্রোটন (H+) সংযোগের ফলে যে এসিডের সৃষ্টি হয়, তাকে সে ক্ষারকের কনজুগেট বা অনুবন্ধী এসিড বলে।
অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে?
কোনো এসিড থেকে একটি প্রোটন (H+) অপসারণের ফলে যে ক্ষারক সৃষ্টি হয়, তাকে সে এসিডের কনজুগেট বা অনুবন্ধী ক্ষারক বলে।
ব্যাখ্যাঃ প্রোটনীয় ধারণা অনুসারে এসিড প্রোটন (H+) দান করার পর যে আয়ন বা যৌগে পরিণত হয় তা আবার প্রোটন গ্রহীতা হিসেবে কাজ করতে পারে।
অর্থাৎ সেটি একটি ক্ষারক। অন্যদিকে ক্ষারকসমূহ প্রোটন গ্রহণ করার পর যে আয়ন বা যৌগে পরিণত হয় তা পুনরায় প্রোটন দাতা বা এসিড হিসেবে কাজ করে।
এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারকের প্রকৃতি কেমন হয়?
উত্তরঃ এসিড যত তীব্র হয়, তার প্রোটন ত্যাগের প্রবণতা তত বেশি হয়। তখন এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারকটি প্রোটনের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা খুব কম হয়।
অর্থাৎ এটি মৃদু ক্ষারধর্মী হয়। বিপরীতভাবে মৃদু এসিডের প্রোটন ত্যাগের প্রবণতা কম হওয়ায় মৃদু এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারকের প্রোটনের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়। ফলে এটি তীব্র ক্ষারধর্মী হয়।
সুতরাং তীব্র এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারক মৃদু হয় এবং মৃদু এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারক তীব্র হয়।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে অনুবন্ধী এসিড ও অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।