অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান [2023]

অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। কোষের কোন অংশ মৃত?

উত্তরঃ কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন-২। প্রতিটি নিউক্লিয়াসে কয়টি অংশ থাকে ও কি কি?

উত্তরঃ প্রতিটি নিউক্লিয়াসে চারটি অংশ থাকে। যথা- নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়ার পর্দা ও নিউক্লিওজালিকা।

প্রশ্ন-৩। প্রোটোপ্লাজম কী?

উত্তরঃ কোষের অর্ধতরল জেলির মতো আঠালো ও দানাদার বর্ণহীন সজীব অংশই প্রোটোপ্লাজম।

প্রশ্ন-৪। লিউকোপ্লাস্টিড কোথায় থাকে?

উত্তরঃ উদ্ভিদের যেসব অংশে আলো পৌছায় না সেসব অংশের কোষে লিউকোপ্লাস্টিড থাকে।

প্রশ্ন-৫। কোষ তত্ত্ব কি?

উত্তরঃ যেখানে প্রোটোপ্লাজম সেখানেই প্রাণ। যেখানে প্রাণ সেখানেই প্রোটোপ্লাজম।

প্রশ্ন-৬। সাইটোপ্লাজম কাকে বলে?

উত্তরঃ কোষের প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াসের বাইরে জেলির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে।

প্রশ্ন-৭। ক্রিস্টি কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়ন দ্বিস্তর পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়নের অন্তঃপর্দাটি আঙুলের মতো অনেক ভাঁজ সৃষ্টি করে। আঙুলের মতো ওই ভাঁজগুলোকে ক্রিস্টি বলে।

প্রশ্ন-৮। ম্যাট্রিক্স কাকে বলে?

উত্তরঃ ক্রিস্টির অভ্যন্তরে তরল পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলে।

প্রশ্ন-৯। কোষগহ্বর কাকে বলে?

উত্তরঃ কোষের সাইটোপ্লাজমে তরল পদার্থপূর্ণ (কোষরস) ছোট-বড় গহ্বর থাকে তাদেরকে কোষগহ্বর বলে।

প্রশ্ন-১০। প্লাস্টিড কাকে বলে?

উত্তরঃ সজীব উদ্ভিদকোষের সাইটোপ্লাজমে ছড়িয়ে থাকা বর্ণহীন অথবা বর্ণযুক্ত গোলাকার বা ডিম্বাকার অঙ্গাণুকে প্লাস্টিড বলে।

প্রশ্ন-১১। মাইটোকন্ড্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দণ্ডের আকারের অঙ্গাণুগুলোকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১২। সেন্ট্রিওল কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াসের কাছে দুটি ফাঁপা নলাকার বা দণ্ডাকার অঙ্গাণুকে সেন্ট্রিওল বলে।

প্রশ্ন-১৩। প্লাস্টিডকে উদ্ভিদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বলার কারণ কী?

উত্তরঃ প্লাস্টিড উদ্ভিদের এমন একটি উপাদান, যা শুধু উদ্ভিদকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করে না এটি সব উদ্ভিদকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই প্লাস্টিডকে উদ্ভিদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বলা হয়।

প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব কোষে আদর্শ এবং সংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না, কোষে পর্দাঘেরা কোষ অঙ্গাণু থাকে না, ক্রোমোজোম গঠিত হয় না, তাদের আদি কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ বলে। 

ব্যাকটেরিয়া নীলাভ সবুজ শৈবাল ইত্যাদি প্রোক্যারিওটিক কোষের উদাহরণ।

ইউক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব কোষে নিউক্লিয়াসকে সংগঠিত (নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস এবং নিউক্লিয় জালক উপস্থিত) এবং নিউক্লিয় পর্দা বেষ্টিত, ক্রোমোজোম ক্ষারীয় প্রোটিনযুক্ত , কষে পর্দাঘেরা একাধিক কোষ অঙ্গাণু থাকে, তাদের আদর্শ কসবা ইউক্যারিওটিক কোষ বলে। উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের প্রকৃত উদাহরণ।

প্রশ্ন-১৪। আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ–

i. আবরণী টিস্যুগুলো এক বা একাধিক স্তরে সাজানো থাকে।

ii. কোষগুলো একটি পাতলা ভিত্তি পর্দার ওপর সাজানো থাকে।

iii. এ ধরনের টিস্যুতে কোনো আন্তঃকোষীয় ধাত্র (matrix) থাকে না।

প্রশ্ন-১৫। প্লাস্টিডের কাজ উল্লেখ কর।

উত্তর : প্লাস্টিডের কাজ নিচে উল্লেখ করা হলো–

i. সালোকসংশ্লেষণে সহায়তা করে।

ii. বর্ণ গঠনে সাহায্য করে।

iii. খাদ্য সঞ্চয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

iv. ফুলের পাপড়ি ও ফলের ত্বকে বিভিন্ন বর্ণবৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-১৬। পেশি টিস্যুর কাজগুলো লেখ।

উত্তরঃ পেশি টিস্যুর কাজগুলো হলো–

  • দেহের আকৃতি দান করে ও অস্থি সঞ্চালনে সহায়তা করে।
  • নঁড়াচড়া ও চলাচলে সাহায্য করে।
  • দেহের ভেতরের অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
  • দেহে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-১৭। স্নায়ু কলার কাজগুলো লেখ।

উত্তরঃ স্নায়ু কলার কাজগুলো হলো–

  • দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও সংবেদন গ্রহণকারী অঙ্গ থেকে গৃহীত উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ
  • করে।
  • দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
  • উদ্দীপনা বা ঘটনাকে স্মৃতিতে ধারণ করা।
  • কার্যকর অংশ উদ্দীপনায় সাড়া প্রদান করা।

প্রশ্ন-১৮। উদ্ভিদকোষে নিউক্লিয়াস এক পাশে অবস্থান করে কেন?

উত্তরঃ সাধারণত উদ্ভিদকোষে বড় কোষগহ্বর থাকে। এ গহ্বরটি কোষের কেন্দ্রে অবস্থান করে। ফলে নিউক্লিয়াসটি এই কোষের এক পাশে অথবা কোষপ্রাচীরের কাছাকাছি অবস্থান করে। 

অর্থাৎ কোষগহ্বরের আকার ও অবস্থানগত কারণেই উদ্ভিদকোষে নিউক্লিয়াসের এ ধরনের অবস্থান দেখা যায়।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে অধ্যায়-২ : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন