রাইবোজোম কি? রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “রাইবোজোম কি? রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
রাইবোজোম কি? রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি?
রাইবোজোম (Ribosome) হচ্ছে জীব কোষে অবস্থিত রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা।
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় প্রকার কোষেই এদের পাওয়া যায়। এটি প্রধানত আমিষ সংশ্লেষণে সাহায্য করে।
কোথায় আমিষ সংশ্লেষণ হবে তার স্থান নির্ধারণ করা এর কাজ। প্রোটিনের পলিপেপটাইড চেইন সংযোজন এই রাইবোজোমে হয়ে থাকে। এছাড়া এ কাজে প্রয়োজনীয় উৎসেচক সরবরাহ করে থাকে।
রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি?
রাইবোজোম বৃত্তাকার, ত্রিকোণ বা পঞ্চকোণবিশিষ্ট নিরেট কাঠামো বিশেষ, কিন্তু লাইসোজোম দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণী পর্দা দ্বারা আবদ্ধ ফাঁকা স্থানবিশেষ।
রাইবোজোম আদিকোষ ও প্রকৃত কোষে পাওয়া যায়, অপরদিকে লাইসোজোম শুধু প্রকৃত কোষে উপস্থিত।
রাইবোজোমের গাঠনিক উপাদান হলো RNA ও প্রোটিন অপরদিকে, লাইসোজোম লিপোপ্রোটিন ও এনজাইম দিয়ে গঠিত। রাইবোজোম অনাবৃত, এতে কোন আবরণ নেই, কিন্তু লাইসোজোম আবরণ দ্বারা আবৃত।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে রাইবোজোম কি? রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।