তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র [2023]

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রটি শক্তির নিত্যতা সূত্রের একটি বিশেষ রূপ।

তাপ ও কাজের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানী জুলের বিবৃতি অনুযায়ী তাপ গতিবিদ্যার প্রথম সূত্র হচ্ছে, যদি তাপকে সম্পূর্ণরূপে কাজে বা কাজকে সম্পূর্ণরূপে তাপে রূপান্তর করা যায়, তবে কাজ তাপের সমানুপাতিক।

 অর্থাৎ কোনাে সিস্টেমের উপর Q পরিমাণ তাপ সরবরাহ করায় যদি W পরিমাণ কাজ হয় তবে, W = JQ; [এখানে J ধ্রুবক]

কিন্তু কোনাে সিস্টেমে তাপ সরবরাহ করা হলে এর সবটাই কাজে রূপান্তরিত হয় না, এর কিছু অংশ সিস্টেমের অন্তঃস্থ শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়।

তাই এ সম্পর্কিত ক্লসিয়াসের বিবৃতি অনুযায়ী, Q = ΔU + ΔW; এখানে ΔU = অন্তঃস্থ শক্তির পরিবর্তন।

অর্থাৎ সিস্টেমে সরবরাহকৃত তাপে একটি অংশ কাজে রূপান্তরিত হয় এবং বাকিটা সিস্টেমের অন্তঃস্থ শক্তি পরিবর্তনে ব্যয় হয়, কোনাে তাপ ধ্বংস হয় না। তাই বলা যায় যে, তাপ গতিবিদ্যার প্রথম সূত্রটি মূলত শক্তির নিত্যতা সূত্রের একটি বিশেষ রূপ।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন