ডিজিটাল সিগনেচার কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ডিজিটাল সিগনেচার কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ডিজিটাল সিগনেচার কি?
ডিজিটাল সিগনেচার (Digital signature) একটি প্রত্যয়ন বা অথেনটিকেশন ব্যবস্থা। নেটওয়ার্ক মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের সময় একটি গুপ্তসংকেত গ্রথিত করে রাখা হয়, যা সিগনেচারের মতো কাজ করে।
এ সিগনেচার বা স্বাক্ষর থেকে বোঝা যায় যে তথ্যটি নকল বা অবৈধ নয়। এটি একটি ক্রিপ্টগ্রাফি ম্যাকনিজম যা লিখিত সিগনেচারের মতোই কাজ করে। এটি ম্যাসেজের উৎস এবং বিষয়বস্তু পরীক্ষা করে।
সাধারণত প্রেরককে সনাক্ত করার জন্য ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহৃত হয়। বাইরের থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো ডিজিটাল সিগনেচার এ্যালগোরিদম বা ডিএসএ।
এ পদ্ধতিতে ইউজার থেকে সাপ্লাই দেয়া কোডকে এনক্রিপ্ট করা হয়। এ ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হলো যিনি প্রেরক তাকে মূল কী পাঠাতে হয় ডিজিটাল সিগনেচারে যাতে তা ভেরিফাই করা যায়।
সেক্ষেত্রে এ কী (Key) টি পাঠানোর সময়ে বাইরে থেকে কখনো কখনো সেটা জেনে নেয়া সম্ভব। একটি আরো আধুনিক ডিজিটাল সিগনেচারকে বলা হয় পাবলিক কী ক্রিপ্টোগ্রাফী যা বর্তমানে ই-কমার্সে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ফিচারটি অনেক আধুনিক ওয়েব ব্রাউজারে বিল্টইন থাকে।
এ টেকনিকের ফলে অথেনটিকেশন সিগনেচার প্রদানের জন্য দু'জোড়া কী ব্যবহার করা হয়। একটি সিক্রেট কী যা প্রেরকের নিকটেই শুধু জানা থাকে এবং এটি দিয়ে মেসেজকে এনকোড করা হয়।
একটি পাবলিক কী যা যে কারো কাছেই থাকতে পারে, তা দিয়ে মেসেজটি ডিকোড করা হয়। এ পাবলিক কী আবার ততক্ষণ ডিকোড করতে পারবে না যতক্ষণ না সেটি সিক্রেট কী দিয়ে এনকোড করা হয়।
এক্ষেত্রে সেন্ডার সিক্রেট কী যদি ভালোভাবে রাখতে পারে তবে সিকিউরিটি বেশ ভালো এ পদ্ধতিতে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ডিজিটাল সিগনেচার কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।