আড় তরঙ্গ, দীঘল তরঙ্গ, অগ্রগামী তরঙ্গ এবং স্থির তরঙ্গ কাকে বলে?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “আড় তরঙ্গ, দীঘল তরঙ্গ, অগ্রগামী তরঙ্গ এবং স্থির তরঙ্গ কাকে বলে?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
আড় তরঙ্গ, দীঘল তরঙ্গ, অগ্রগামী তরঙ্গ এবং স্থির তরঙ্গ কাকে বলে?
আড় তরঙ্গ : যে তরঙ্গে মাধ্যমের কণাগুলো তরঙ্গের গতির অভিমূখের সমকোণে কম্পিত হয় তাকে আড় তরঙ্গ বলে।
যেমন- পানিতে ঢিল ছোড়ার ফলে পানির উপরি তলে সৃষ্ট তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ বা যেকোনো প্রকার তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ ইত্যাদি।
দীঘল তরঙ্গ : যে তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলোর কম্পনের দিক তরঙ্গ প্রবাহের অভিমুখের সমান্তরাল হয় তাকে দীঘল তরঙ্গ বলে। যেকোনো মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ একটি দীঘল তরঙ্গের উদাহরণ।
অগ্রগামী তরঙ্গ : যে তরঙ্গ মাধ্যমের স্তর থেকে স্তরে ক্রমাগত সঞ্চালিত হয়ে নির্দিষ্ট বেগে অগ্রসর হয় তাকে অগ্রগামী তরঙ্গ বলে।
স্থির তরঙ্গ : কোন মাধ্যমে একই কম্পাঙ্ক ও বিস্তারের দুটি অভিন্ন অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিক থেকে সমবেগে পরস্পরের উপর আপতিত হয়ে যে তরঙ্গ উৎপন্ন করে তা কোন দিকে অগ্রসর না হয়ে সৃষ্ট স্থানেই পর্যায়ক্রমিক উৎপন্ন ও বিলুপ্ত হতে থাকে। এ তরঙ্গকে স্থির তরঙ্গ বলে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে আড় তরঙ্গ, দীঘল তরঙ্গ, অগ্রগামী তরঙ্গ এবং স্থির তরঙ্গ কাকে বলে? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।