কার্বনাইল যৌগ কাকে বলে? জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “কার্বনাইল যৌগ কাকে বলে? জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
কার্বনাইল যৌগ কাকে বলে? জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী
দ্বিযোজী কার্বনাইল মূলকের সাথে হাইড্রোজেন পরমাণু ও একযোজী অ্যালকাইল মূলক (–R) অথবা অ্যারাইল মূলক (–AR) যুক্ত হয়ে যে সব যৌগ উৎপন্ন হয় তাদেরকে একসাথে কার্বনাইল যৌগ বলে।
যেমন- ফরম্যালডিহাইড বা মিথান্যাল (H-CHO), অ্যাসিট্যালডিহাইড বা ইথান্যাল (CH₃-CHO), অ্যাসিটোন বা প্রোপানোন (CH₃-CO-CH₃), বেনজ্যালডিহাইড (C6H5-CHO), বেনজোফেনোন (C6H5-CO-C6H5), ইত্যাদি হল কার্বনাইল যৌগ।
জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী?
জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. কার্বনের ক্যাটেনেশন : একই মৌলের পরমাণুসমূহের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের শিকল গঠনের ধর্মকে ক্যাটেনেশন বলে। কার্বন পরমাণু একই মৌলের পরমাণুর সাথে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী ও স্থিত বন্ধন সৃষ্টি করতে পারে।
২. কার্বন পরমাণুর যোজনী চার হওয়া : কার্বন পরমাণুর যোজনী 4। তাই এটি নিজেদের মধ্যে একক, দ্বি ও ত্রি-বন্ধন গঠন করার পরেও অন্যান্য মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়।
৩. জৈব যৌগের সমাণুতা : জৈব যৌগের সমাণুতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়, অর্থাৎ একই আণবিক সংকেত কিন্তু ভিন্ন আণবিক গঠন বিশিষ্ট একাধিক যৌগের উপস্থিতি দেখা যায়।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে কার্বনাইল যৌগ কাকে বলে? জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।