নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান- বিস্তারিত [2023]

নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। চলন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে প্রাণী নিজ প্রচেষ্টায় সাময়িকভাবে একস্থান হতে অন্যস্থানে যায় তাকে ঐ প্রাণীর চলন বলে।

প্রশ্ন-২। মানব কঙ্কালে মোট কয়টি অস্থি রয়েছে?
উত্তরঃ ২০৬টি।

প্রশ্ন-৩। লিগামেন্ট কি দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ শ্বেততন্তু ও পীততন্তু দিয়ে।

প্রশ্ন-৪। মেরুদন্ডের অস্থিসন্ধি কোন ধরনের অস্থিসন্ধি?
উত্তরঃ মেরুদন্ডের অস্থিসন্ধি ঈষৎ সচল অস্থি সন্ধি।

প্রশ্ন-৫। পীত বর্ণের স্থিতিস্থাপক তন্তুর সংখ্যা বেশি কোথায়?
উত্তরঃ লিগামেন্ট।

প্রশ্ন-৬। লিগামেন্ট তন্তুগুলোর মাঝে কোন কোষ থাকে?
উত্তরঃ ফাইব্রোব্লাস্ট।

প্রশ্ন-৭। পিউবিস কিসের অংশ?
উত্তরঃ পেলভিক গার্ডেল।

প্রশ্ন-৮। টার্সালের সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ৭টি।

প্রশ্ন-৯। অস্টিওপরোসিস কী ধরনের রোগ?
উত্তরঃ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ।

প্রশ্ন-১০। জীবিত অস্থিকোষে কত শতাংশ জৈব পদার্থ থাকে?
উত্তরঃ ৪০ শতাংশ।

প্রশ্ন-১১। সারকোলেমা কাকে বলে?
উত্তরঃ পেশি আবরণীকে সারকোলেমা বলে।

প্রশ্ন-১২। অস্থি কী?
উত্তরঃ যোজক কলার রূপান্তরিত রূপই হলো অস্থি।

প্রশ্ন-১৩। অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক সন্ধির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে।

প্রশ্ন-১৪। কঙ্কাল কাকে বলে?
উত্তরঃ আমাদের দেহে বিভিন্ন অস্থির সমন্বয়ে গঠিত কাঠামোকে কঙ্কাল বলে।

প্রশ্ন-১৫। পেরিঅস্টিয়াম কী?
উত্তরঃ অস্থিকোষের আবরণই হলো পেরিঅস্টিয়াম।

প্রশ্ন-১৬। হিউমেরাস কী?
উত্তরঃ কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত বিস্তৃত অস্থিটিই হলো হিউমেরাস।

প্রশ্ন-১৭। রেডিও-আলনা কী?
উত্তরঃ কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত বিস্তৃত দুটি অস্থির একটি রেডিয়াস এবং অপরটি আলনা।

প্রশ্ন-১৮। কার্পাল অস্থি কাকে বলে?
উত্তরঃ রেডিও আলনার নিচের দিকে দুই সারিতে ৮টি ছোট ছোট অস্থিকে কার্পাল অস্থি বলে। কার্পাল অস্থিগুলো কবজি গঠন করে।

প্রশ্ন-১৯। মেটাকার্পাল কাকে বলে?
উত্তরঃ কার্পাল অস্থির সাথে যুক্ত ৫টি সরু লম্বা সামান্য বড় অস্থিকে মেটাকার্পাল বলে। এরা হাতে তালু বা করতল গঠন করে।

প্রশ্ন-২০। ফ্যালাঞ্জেস কাকে বলে?
উত্তরঃ হাতের আঙুলের অস্থিগুলোকে ফ্যালঞ্জেস বলে।

প্রশ্ন-২২। আর্টিকুলেশন  কি?
উত্তরঃ আর্টিকুলেশন হলো অস্থির সংযোগ যা তরুণাস্থি ও লিগামেন্ট সহযোগে গঠিত।

প্রশ্ন-২৩। পেরিকন্ড্রিয়াম কাকে বলে?
উত্তরঃ তরুণাস্থি যে তন্তুময় যোজক কলা নির্মিত আবরণী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে, তাকে পেরিকন্ড্রিয়াম বলে।

প্রশ্ন-২৪। অস্টিওব্লাস্ট কী?
উত্তরঃ অস্থি মাতৃকায় ছড়িয়ে থাকা অস্থিকোষগুলোই হলো অস্টিওব্লাস্ট।

প্রশ্ন-২৫। কঙ্কালতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তন্ত্র দেহের কাঠামো গঠন করে, নির্দিষ্ট আকৃতি দেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে এবং চলনে সাহায্য করে তাকে কঙ্কালতন্ত্র বলে।

প্রশ্ন-২৬। অন্তঃকঙ্কাল কাকে বলে
উত্তরঃ কঙ্কালের যে অংশগুলো ভেতরে অবস্থিত অর্থাৎ বাইরে থেকে দেখা যায় না সেগুলোকে অন্তঃকঙ্কাল বলে।

প্রশ্ন-২৭। মানব দেহের কঙ্কালতন্ত্রকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তরঃ মানব দেহের কঙ্কালতন্ত্রকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১। বহিঃকঙ্কাল ও ২। অন্তঃকঙ্কাল।

প্রশ্ন-২৮। ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব অস্থিসন্ধি একে অন্যের সাথে সংযুক্ত থাকলেও সামান্য নড়াচড়া করতে পারে তাকে ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি বলে।

প্রশ্ন-২৯। লিগামেন্ট কী?
উত্তরঃ শ্বেততন্তু ও পীততন্তুর সমন্বয়ে গঠিত পাতলা কাপড়ের মতো কোমল অথচ দৃঢ়, স্থিতিস্থাপক যোজক কলাই হলো লিগামেন্ট, যা দ্বারা অস্থিসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

প্রশ্ন-৩০। ঐচ্ছিক পেশি কী?
উত্তরঃ যে পেশি প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকোচিত বা প্রসারিত হয় তাকে ঐচ্ছিক পেশি বা ডোরাকাটা পেশি বলে। এ পেশি টিস্যুর কোষগুলো নলাকার, শাখাবিহীন ও আড়াআড়ি ডোরাযুক্ত হয়। এদের সাধারণত একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে। উদাহরণ : মানুষের পায়ের পেশি।

প্রশ্ন-৩১। তরুণাস্থিকে চকচকে সাদা দেখায় কেন?
উত্তরঃ তরুণাস্থিকে চকচকে সাদা দেখায়। কারণ তরুণাস্থি পেরিকন্ড্রিয়াম নামক একটি তন্তুময় যোজক কলা নির্মিত আবরণী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। আবরণটি দেখতে চকচকে সাদা হওয়ায় তরুণাস্থিকে চকচকে সাদা দেখায়।

প্রশ্ন-৩২। হাতের কনুইকে কব্জি সন্ধি বলা হয় কেন?
উত্তরঃ দরজার কবজা যেমন দরজার পাল্লাকে কাঠামোর সাথে আটকে রাখে, সেরূপ কবজার মতো সন্ধিকে কব্জি-সন্ধি বলে। হাতের কনুই এর সন্ধিও তদ্রুপ হাতের রেডিও-আলনাকে হিউমেরাসের সাথে আটকে রাখে। তাই হাতের কনুইকে কব্জি সন্ধি বলে।

প্রশ্ন-৩৩। আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি কী ধরনের অস্থিসন্ধি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি। এসব অস্থিসন্ধির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এরা পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকলেও সামান্য পরিমাণে নড়াচড়া করতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে আমরা দেহকে সামনে, পিছনে ও পাশে বাঁকাতে পারি।

প্রশ্ন-৩৪। গেঁটেবাত কি? গেঁটেবাত হলে শরীরে কী ধরনের সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তরঃ গেঁটেবাত এক ধরনের রোগ। সাধারণ বাংলায় একে গাউট বলা হয়। অনেকদিন যাবৎ জ্বরে ভুগলে এবং এর যথাযথ চিকিৎসা না করা হলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গেঁটেবাত হলে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা হলো– অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা প্রদাহ হয়, অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হওয়ায় নাড়াতে কষ্ট হয় ও গিট ফুলে যায়।

প্রশ্ন-৩৫। ক্তকণিকার সাথে অস্থির সম্পর্ক কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ রক্তকণিকার সাথে অস্থির সম্পর্ক রয়েছে। দেহের বেশ কিছু অস্থির লাল অস্থিমজ্জা থেকে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয়। কাজেই রক্তকণিকার সাথে অস্থির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

প্রশ্ন-৩৬। তরুণাস্থির বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ তরুণাস্থির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

  • এটি এক ধরনের নরম অস্থি।
  • এর কোষগুলো একক বা জোড়ায় জোড়ায় খুব ঘনভাবে স্থিতিস্থাপক মাতৃকাতে বিস্তৃত থাকে।
  • এর মাতৃকা কন্ড্রিন দ্বারা গঠিত, যা হালকা নীল বর্ণের হয়ে থাকে।
  • জীবিত অবস্থায় তরুণাস্থি কোষের প্রোটোপ্লাজম খুব স্বচ্ছ থাকে। নিউক্লিয়াসটি গোলাকার, কন্ড্রিনের মাঝে গহ্বর দেখা দেয়। এর ভিতর কন্ড্রিওব্লাস্ট বা কন্ড্রিওসাইট থাকে।
  • সব তরুণাস্থি একটি তন্তুময় যোজক কলা নির্মিত আবরণী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে যা দেখতে চকচকে সাদা।

প্রশ্ন-৩৭। টেনডন ও লিগামেন্টের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ নিচে টেনডন ও লিগামেন্টের মধ্যে পার্থক্য দেয়া হলোঃ
টেনডন
মাংসপেশির প্রান্তভাগ রজ্জুর মতো শক্ত হয়ে অস্থিগাত্রের সাথে সংযুক্ত হয়, এই শক্ত প্রান্তকে টেনডন বলে।
ঘন, শ্বেত তন্তুময় যোজক টিস্যু দ্বারা টেনডন গঠিত।
এদের স্থিতিস্থাপকতা নেই।
লিগামেন্ট
পাতলা কাপড়ের মতো কোমল অথচ দৃঢ়,স্থিতিস্থাপক যে বন্ধনী দ্বারা অস্থিসমূহ পরস্পরের যুক্ত থাকে তাকে অস্থিবন্ধনী বা লিগামেন্ট বলে।
শ্বেততন্তু ও পীততন্তুর সমন্বয়ে লিগামেন্ট গঠিত।
এদের স্থিতিস্থাকতা আছে।

প্রশ্ন-৩৮। বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশির মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
i. বাইসেপস পেশি বাঁকানো হাতকে সোজা করতে পারে না। কিন্তু ট্রাইসেপস পেশি বাঁকানো হাতকে সোজা করতে পারে।
ii. কনুই বাঁকা করলে বাইসেপস পেশি সংকুচিত হয়। অপরদিকে কনুই বাঁকা করলে ট্রাইসেপস পেশি শ্লথ হয়।

আশা করি নবম অধ্যায় : দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞানএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন