ভার্চুয়াল মেমোরি কাকে বলে? র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ভার্চুয়াল মেমোরি কাকে বলে? র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ভার্চুয়াল মেমোরি কাকে বলে? র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য কি?
একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালালে কম্পিউটার র্যাম নিজের মেমোরি ছাড়াও প্রয়োজনমতো হার্ডডিস্কের জায়গা ব্যবহার করে।
এটাকে কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual memory) বলে, যা সোয়্যাপ ফাইল নামেও পরিচিত। র্যামের নিজস্ব ধারণক্ষমতার বাইরে গেলেই অতিরিক্ত এই মেমোরির প্রয়োজন হয়।
কিন্তু হার্ডড্রাইভ র্যামের তুলনায় ধীরগতির। ফলে ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে বেশি প্রোগ্রাম চালাতে পারলেও র্যামের মতো অতটা দ্রুতগতির হবে না।
র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য কি?
র্যাম ও রমের পার্থক্য ভালোভাবে জানতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে র্যাম ও রম কি। কেন এই র্যাম ও রম? তাহলে চলুন জেনেনি র্যাম ও রম কি?
র্যাম (RAM) কি?
কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত একাধিক চিপ নিয়ে র্যাম এলাকা গঠিত। র্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের কর্ম এলাকা।
র্যামে সব ধরনের লেখা ও পড়া যায়। র্যামে তথ্য জমা থাকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে, ফলে র্যামের সব তথ্য অস্থায়ীভাবে থাকে। বিদ্যুৎ চলাচল বন্ধ হলে কিংবা অন্য কোনো কারণে কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে র্যামে থাকা ডেটা ও প্রোগ্রাম মুছে যায়।
কম্পিউটার আবার চালু করলেও ঐসব তথ্য ফিরে পাওয়া যায় না। এজন্য র্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়। আর তাই কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর তথ্য বা ডেটা সেভ (Save) করতে হয়। র্যাম দু'ধরনের হয়। যথ– DRAM (Dynamic RAM) ও SRAM (Static RAM)
রম (ROM) কি?
রম হচ্ছে কম্পিউটারের নিজস্ব মেমোরি কেন্দ্র। কম্পিউটার রম থেকে কেবলমাত্র তথ্য পড়তে পারে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে।
রমের মেমোরিতে রাখা কোনো তথ্য কম্পিউটার মুছে ফেলতে পারে না বা পরিবর্তন করতে পারে না।
এজন্য রমকে কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি বলা হয়। কম্পিউটারের রম যত বেশি হবে কম্পিউটার তত কঠিন কাজও অতি দ্রুত করতে সক্ষম হবে।
র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য
র্যাম (RAM)
RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Random Access Memory।
র্যামে অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ এবং র্যাম থেকে ডেটা পঠন সম্ভব।
র্যাম উদ্বায়ী (Volatile) মেমোরি, অর্থাৎ বিদ্যুৎ চলাচল বন্ধ হলে র্যামে রাখা ডেটা মুছে যায়।
চলমান প্রোগ্রাম এবং পুনঃপুনঃ পরিবর্তনশীল ডেটা র্যামে সংরক্ষণ করা হয়।
অ্যাকসেস সময় তুলনামূলকভাবে কম।
তৈরি করার সময় এতে কোন ডেটা থাকে না।
তুলনামূলকভাবে দাম কম।
তৈরি করার ক্ষেত্রে ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করা হয়।
স্ট্যাটিক র্যাম, ডাইনামিক র্যাম ইত্যাদি র্যামের প্রকারভেদ।
রম (ROM)
ROM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Read Only Memory।
সাধারণত রমে একবারই স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে যেকোন সময় সংরক্ষিত ডেটা পঠন সম্ভব।
রম উদ্বায়ী (Volatile) মেমোরি নয়, অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলেও রমে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না।
সহজে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না এমন ডেটা ও প্রোগ্রাম রমে সংরক্ষণ করা হয়।
অ্যাকসেস সময় তুলনামূলকভাবে বেশি।
তৈরি করার সময় এতে প্রয়োজনীয় কিছু ডেটা দেয়া থাকে।
তুলনামূলকভাবে দাম বেশি।
তৈরি করার ক্ষেত্রে ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করা হয় না।
PROM, EPROM, EEPROM ইত্যাদি রমের শ্রেণীবিভাগ।আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ভার্চুয়াল মেমোরি কাকে বলে? র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।