ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কি? ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজনীয়তা।: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কি? ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজনীয়তা।” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কি? ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজনীয়তা।
ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার (Voltage stabilizer) একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ সরবরাহ স্থির রাখে।
যে কোনাে কারণে প্রধান সরবরাহ লাইনে ভােল্টেজের মান ওঠা-নামা করে তবে তার সাথে যন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে (Voltage Stabilizer - এর) আউটপুট ভােল্টেজ স্থির বা অপরিবর্তিত রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখে।
তাই ধ্রুব (Constant) বিদ্যৎ সরবরাহের জন্যে Voltage Stabilizer ব্যবহার করা হয়।
তবে যদি কোনাে কারণে প্রধান সরবরাহ লাইনের ভােল্টেজ অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে Stabilizer-এর অভ্যন্তরের ফিউজ কেটে যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে। এটি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজনীয়তা
কম্পিউটার অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়ােজন। প্রবাহমাত্রা ও বিভব পার্থক্যের সূক্ষ্ম পরিবর্তনের কারণেও এর অনেক ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভােল্টেজের পরিমাণ সাধারণত ২২০ ভােল্ট। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই মাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়ে সর্বনিম্ন ১২০ ভােল্ট থেকে সর্বোচ্চ ২৯০ ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে।
বিদ্যুতের এই অস্বাভাবিক আচরণে কম্পিউটারে ব্যবহৃত সুক্ষ্ম যন্ত্রসমূহে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
তাই সর্বদা এই প্রবাহমাত্রা ও বিভব পার্থক্যের নিত্যতা বজায় রাখার জন্য ভােল্টজ স্ট্যাবিলাইজার (Voltage Stabilizer) ব্যবহার করতে হয়।
বিদ্যুৎ প্রবাহের মাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়ে যা-ই সরবরাহ হোক না কেন ভােল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার সেই মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রহণযােগ্য মাত্রায় (২২০ ভােল্ট) সরবরাহ করে থাকে।
ফলে মূল বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুতের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি হলেও কম্পিউটারে গ্রহণযােগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে।
স্ট্যাবিলাইজারকে প্রথমে বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে সংযোগ করা হয়। তারপর সেখান থেকে কম্পিউটারে শক্তি সরবরাহ করা হয়। এতে কম্পিউটারের জন্য সরবরাহের নির্ধারিত পরিমিতির কোনাে পরিবর্তন হলে তা সরাসরি এর উপর প্রভাব বিস্তার করে না।
বিভিন্ন প্রকার ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের সুবিধা ও অসুবিধা
ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার সাধারণত দুই ধরনের। যথা- ১. লিনিয়ার ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার; ২. সুইসিং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার।
নিচে এগুলোর সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করা হলো :
লিনিয়ার ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের সুবিধাসমূহ :
১. Noise কম সৃষ্টি করে।
২. লোড ও লাইন চেঞ্জ দ্রুত রেসপন্স করে।
৩. আউটপুটে ভোল্টেজ প্রবাহ কম হয়।
৪. সরল ধরনের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার।
৫. লোড রেগুলেশন ও লাইন খুবই ভালো।
লিনিয়ার ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের অসুবিধাসমূহ :
১. কর্মদক্ষতা কম।
২. Heat Sink প্রয়োজন হলে বেশি জায়গা দরকার।
৩. ইনপুটের চেয়ে ভোল্টেজ বাড়াতে পারে না।
সুইসিং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের সুবিধাসমূহ :
১. কর্মদক্ষতা বেশি।
২. High Power Density রোধ করে।
৩. ইনপুট ভোল্টেজের চেয়ে ভোল্টেজ চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো বা কমানো যায়।
সুইসিং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের অসুবিধাসমূহ :
১. আউটপুটে বেশি ভোল্টেজ প্রবাহ ঘটে।
২. Noise বেশি সৃষ্টি হয়।
৩. দাম অত্যন্ত বেশি।
৪. Transien Recovery সময় খুব কম।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কি? ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজনীয়তা। বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।