পজিশনাল এবং নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “পজিশনাল এবং নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
পজিশনাল এবং নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে কোনো সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর পজিশন বা অবস্থানের ওপর নির্ভর করে তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Positional number system) বলে।
অঙ্কগুলোর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে এই ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান নির্ণয় করা হয়।
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি চার প্রকার। যথা-
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিঃ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ হচ্ছে ২। কারণ এ পদ্ধতিতে ০ ও ১ মোট ২টি মৌলিক অঙ্ক আছে।
দশমিক বা ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ হচ্ছে ১০। কারণ এ পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট ১০টি মৌলিক অঙ্ক আছে। যথা- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ হচ্ছে ৮। কারণ এ পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮(আট) টি মৌলিক অঙ্ক আছে।
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ হচ্ছে ১৬। কারণ এ পদ্ধতিতে মোট ১৬টি মৌলিক চিহ্ন বা অঙ্ক আছে। যথা- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E এবং F। (১০ = A, ১১ = B, ১২ = C, ১৩ = D, ১৪ = E, ১৫ = F)
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে কোনো সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Non-positional number system) বলে।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্কগুলোর পজিশন বা অবস্থান গুরুত্ব পায় না। ফলে অঙ্কগুলোর কোনো স্থানীয় মান থাকে না।
শুধু অঙ্কটির নিজস্ব মানের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাশ করা হয়। প্রাচীন যুগে ব্যবহৃত হায়ারোগ্লিফিকস সংখ্যাপদ্ধতি একটি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে পজিশনাল এবং নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।