বায়বীয় মূল, শোষক মূল এবং শ্বাসমূল কাকে বলে? উদ্ভিদদেহে মূলের গুরুত্ব: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “বায়বীয় মূল, শোষক মূল এবং শ্বাসমূল কাকে বলে? উদ্ভিদদেহে মূলের গুরুত্ব” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
বায়বীয় মূল, শোষক মূল এবং শ্বাসমূল কাকে বলে?
বায়বীয় মূলঃ এক প্রকার মূল বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে। এদের বায়বীয় মূল বলে। যেমন- রাস্না।
শোষক মূলঃ পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল থাকে না তাই খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে বিশেষ ধরনের মূল প্রবেশ করিয়ে খাদ্যরস শোষণ করে থাকে। এ মূলগুলোকে শোষক মূল বলে। যেমন- স্বর্ণলতা।
শ্বাসমূলঃ সমুদ্র উপকূলে লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত মাটিতে উদ্ভিদের প্রধান মূল হতে শাখা মূল মাটির উপরে খাড়াভাবে উঠে আসে।
এই সকল মূলে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এই ধরনের রূপান্তরিত মূলকে শ্বাসমূল বলে। যেমন- সুন্দরী, গরান ইত্যাদি।
উদ্ভিদদেহে মূলের গুরুত্ব
মূল মাটির সাথে উদ্ভিদকে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে। মূল দ্বারা মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ শোষিত হয়। মূলজ চাপের মাধ্যমে এই শোষণকৃত পানি ও খনিজ লবণ উদ্ভিদের সারা দেহে পৌঁছায়।
উদ্ভিদদেহে প্রস্তুতকৃত খাদ্য সঞ্চয়ে মূলের ভূমিকা অপরিসীম। যে সকল উদ্ভিদ কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখার ভার বহন করে সোজাভাবে দাঁড়াতে পারে না, সেসব উদ্ভিদের ঠেসমূল এদের কাণ্ডকে মাটির উপরে দাঁড়াতে সহায়তা করে। যেমন— কেয়ার ঠেসমূল।
এছাড়া স্তম্ভমূল বৃহদাকার উদ্ভিদের শাখা-প্রশাখার ভার বহন করে, যেমন— বটের স্তম্ভমূল।
আবার আরোহী মূল লতানো গাছের আরোহণে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ যেমন- কাঁকরোল ও পটলের জনন মূল বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সমুদ্র উপকূলবর্তী উদ্ভিদের শ্বাসমূল উদ্ভিদের শ্বাসকার্যে ব্যবহৃত হয়। পরজীবী মূল উদ্ভিদকে অন্য উদ্ভিদ থেকে খাদ্য আহরণে সহায়তা করে।
অতএব, উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্ভিদদেহে মূলের গুরুত্ব অপরিসীম।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে বায়বীয় মূল, শোষক মূল এবং শ্বাসমূল কাকে বলে? উদ্ভিদদেহে মূলের গুরুত্ব বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।