সুপার রাইস কি? জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “সুপার রাইস কি? জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
সুপার রাইস কি? জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা কি?
সুপার রাইস হলো ‘ভিটামিন-A’ সমৃদ্ধ ধান। যার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন-A এর অভাব পূরণ হয়।
এ ধানটি উদ্ভাবন করা হয় ধানের জীনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং ১৯৯৯ সালে, সুইডেনের বিজ্ঞানী I. Portykus ও তার সহযোগিরা উদ্ভাবন করেন।
Japonica ধানে, ড্যাফোডিল থেকে বিটা কেরোটিন তৈরির চারটি জিন এবং অতিরিক্ত আয়রন তৈরির তিন জিন প্রতিস্থাপন করে সুপার রাইস ধান তৈরি করা হয়।
গুরুত্ব : সুপার রাইস ভিটামিন A সমৃদ্ধ। তাই এ ধানের মাধ্যমে ভিটামিন A-এর অভাবজনিত কারণে শিশুরা রাতকানা বা অন্ধ হওয়া হতে রক্ষা পাবে। এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার ভাতপ্রিয় জনগোষ্ঠী খুব সহজেই সুপার রাইসের মাধ্যমে ভিটামিন A-এর অভাব পূরণ করতে পারবে।
জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা কি?
জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা দুই-ই রয়েছে। নিচে তা তুলে ধরা হলো–
সুবিধা :
১. নতুন নতুন শস্য উৎপন্ন হয়।
২. রোগ ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী।
৩. পুষ্টিমান ভালো ও ফলন বেশি হয়।
৪. স্বল্প সময়ে পরিণতি লাভ করে।
৫. স্বাদ ও গুণগত মান অধিক।
অসুবিধা :
১. দেশীয় জাতীয় শস্য হারিয়ে যেতে পারে।
২. এর কারণে পেস্টিসাইড প্রতিরোধী পতঙ্গ উৎপন্ন হয় না।
৩. অনেক সময় এলার্জি হতে পারে।
৪. এতে থাকা অপ্রত্যাশিত প্রোটিন মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে।
৫. মাটির গুণাগুণ নষ্ট হবার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে সুপার রাইস কি? জেনেটিক ফুডের সুবিধা ও অসুবিধা কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।