স্টার টপোলজি কাকে বলে? এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “স্টার টপোলজি কাকে বলে? এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
স্টার টপোলজি কাকে বলে?
যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি (Star Topology) বলে।
এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।
এ টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট বা বিকল হলে নেটওয়ার্ক এর উপর কোনো প্রভাব পরে না। খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়।
স্টার টপোলজি এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
স্টার টপোলজির সুবিধাঃ
- এ টপোলজির সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি সহজে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
- নেটওয়ার্কে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেই স্টার টপোলজিতে নতুন কম্পিউটার যুক্ত করা যায়।
- কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে সুইচ/হাব ব্যবহারের ফলে দ্রুত এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ডেটা বা উপাত্ত আদান-প্রদান করা যায়।
- এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কের উপর তার কোনো প্রভাব পড়ে না।
- খুব সহজে সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়।
- একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়
স্টার টপোলজির অসুবিধা
- এ টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হাব/সুইচ নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে পড়বে।
- স্টার টপোলজিতে বেশি পরিমাণে ক্যাবল লাগে, তাই এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।
- কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডেটা ট্রান্সমিশনের হার হ্রাস পায়।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে স্টার টপোলজি কাকে বলে? এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।