জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬): আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬)” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬)
প্রশ্ন-১। ধানের পরাগায়ন কীভাবে হয়?
উত্তরঃ ধানের পরাগায়ন বাতাসের সাহায্যে হয়।
প্রশ্ন-২। শিম উদ্ভিদে কোন পরাগায়ন ঘটে?
উত্তরঃ শিম উদ্ভিদে স্ব-পরাগায়ন ঘটে।
প্রশ্ন-৩। উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে কেন?
উত্তরঃ উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে প্লাস্টিডের কারণে। কারণ উদ্ভিদ দেহের রং সৃষ্টির জন্য দায়ী রঞ্জক পদার্থ। যেমন– লিউকোপেন, ক্যারোটিনয়েড প্লাস্টিডে থাকে। তাই এই প্লাস্টিডের উপস্থিতির জন্য উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে।
প্রশ্ন-৪। জীববিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের জনক হলেন অ্যারিস্টটল।
প্রশ্ন-৬। ট্রান্সলেশন কী?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় mRNA অণুতে অবস্থিত বেসের (ক্ষারকের) অনুক্রম অ্যামিনো এসিডের অনুক্রমে রুপান্তরিত হয়ে একটি প্রোটিন শৃঙ্খল গঠন করে তাকে ট্রান্সলেশন বলে।
প্রশ্ন-৭। মিউটন ও রেকন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সিসট্রনের মিউটেশনযোগ্য অংশকে মিউটন ও রিকম্বিনেশনযোগ্য অংশকে রেকন বলে।
প্রশ্ন-৮। জেনেটিক কোড কী?
উত্তরঃ প্রোটিন গঠনের সংকেত DNA-এর চারটি নাইট্রোজেন বেসের নির্দিষ্ট বিন্যাসের উপর নির্ভরশীল। এ সংকেতকেই জেনেটিক কোড বলে।
প্রশ্ন-৯। নিউক্লিয়াস কি?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস হলো জেনেটিক তথ্যের ভাণ্ডার যা কোষের সকল কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রক।
প্রশ্ন-১০। রাইবোজোম কী?
উত্তরঃ কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত ক্ষুদ্র দানাময় “রাইবোনিউক্লিও প্রোটিন” কণা যা প্রোটিন সংশ্লেষের স্থান হিসেবে কাজ করে তার নাম রাইবোজোম।
প্রশ্ন-১১। ক্রোমোজোম কী?
উত্তরঃ প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতরে অবস্থিত রঞ্জকগ্রাহী যে সুতার মতো প্যাঁচানো গঠনগুলো বংশগত উপাদান বা জিন বহন করে তাদের ক্রোমোজোম বলে।
প্রশ্ন-১২। গুয়ানো কি?
উত্তরঃ গুয়ানো হলো পাখির বিষ্ঠা থেকে উৎপন্ন সার হিসেবে উৎকৃষ্ট বস্তু, যার বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে।
প্রশ্ন-১৩। মানবদেহে খনিজ লবণ থাকে শতকরা কত ভাগ?
উত্তরঃ মানবদেহে খনিজ লবণ থাকে শতকরা চার ভাগ।
প্রশ্ন-১৪। প্রোটিন কোথায় সংযোজিত বা সংশ্লেষিত হয়?
উত্তরঃ রাইবোজোম নামের অঙ্গাণুগুলোতে প্রোটিন সংযোজিত বা সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন-১৫। উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান কী?
উত্তরঃ উদ্ভিদের প্রায় ৬০টি অজৈব উপাদান সনাক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে ১৬টি উপাদান উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। এই ১৬টি পুষ্টি উপাদানকেই সমষ্টিগতভাবে ‘অত্যাবশকীয় উপাদান’ বলা হয়।
কারণ এদের যে কোন একটির অভাব হলেই উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়ে এর অভাবজনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং পুষ্টির অভাবজনিত রোগের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-১৬। মাইটোসিস কোষ বিভাজন কয় পর্যায়ে ঘটে?
উত্তরঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজন ৫ পর্যায়ে ঘটে।
প্রশ্ন-১৭। অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া কোনটিতে ঘটে?
উত্তরঃ অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া এককোষী জীবের ক্ষেত্রে ঘটে।
প্রশ্ন-১৮। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের দ্বিতীয় পর্যায় কোনটি?
উত্তরঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের দ্বিতীয় পর্যায় প্রো-মেটাফেজ।
প্রশ্ন-১৯। প্রোফেজ পর্যায়ে কী ঘটে?
উত্তরঃ প্রোফেজ পর্যায়ে পানির হ্রাস ঘটে।
প্রশ্ন-২০। বীজ থেকে চারাগাছ তৈরিতে কোন ধরনের কোষবিভাজন ঘটে?
উত্তরঃ বীজ থেকে চারাগাছ তৈরিতে মাইটোসিস কোষবিভাজন ঘটে।
আশা করি “জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬)”এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ