দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন, জীববিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি): আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন, জীববিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি)” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন, জীববিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি)
প্রশ্ন-১। বংশগতিবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখায় সকল প্রকার জীবের বংশগতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে বংশগতিবিদ্যা বলে।
প্রশ্ন-২। লোকাস কী?
উত্তরঃ ক্রোমোসোমের যে স্থানের জিন অবস্থান করে তাকে লোকাস বলে।
প্রশ্ন-৩। বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি কী?
উত্তরঃ বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি হচ্ছে DNA।
প্রশ্ন-৪। বংশগতি কী?
উত্তরঃ পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যগুলি বংশানুক্রমে সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো বংশগতি।
প্রশ্ন-৫। DNA কী?
উত্তরঃ Deoxyribo Nucleic Acid কে সংক্ষেপে DNA বলে। DNA হচ্ছে ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান।
প্রশ্ন-৬। DNA তে নাইট্রোজেন বেস কোনগুলো?
উত্তরঃ DNA তে নাইট্রোজেন ঘটিত বেসগুলো হচ্ছে এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন।
প্রশ্ন-৭। বর্ণান্ধতা কি?
উত্তরঃ বর্ণান্ধতা হলো এমন এক অবস্থা যখন কেউ কোনো রঙ সঠিকভাবে চিনতে পারে না।
প্রশ্ন-৮। জৈব বিবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ কয়েক হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতার জীব প্রজাতির আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
প্রশ্ন-৯। ক্রোমোজোম কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী Strasburger (১৮৭৫) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন।
সে**ক্স ক্রোমোসোম কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ক্রোমোসোম জীবের লিঙ্গ নির্ধারণ করে অর্থাৎ জীবের পুরুষ কিংবা স্ত্রী বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তাদের সে**ক্স ক্রোমোসোম বলে। যেমন- মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোসোমের মধ্যে মাত্র ১ জোড়া সে**ক্স ক্রোমোসোম।
এদের X ও Y দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মানুষের কোনো জাইগোটে (ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে সৃষ্ট ভ্রূণকোষ) XY থাকলে পুত্র সন্তান এবং XX থাকলে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ জিনোটাইপ হচ্ছে কোনো জীবের জিনের গঠন বা অবস্থান। অপরদিকে, জীবের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যকে এর ফিনোটাইপ বলে।
জিনতত্ত্বের বা বংশগতির জনক কে?
উত্তরঃ বংশগতিবিদ্যার সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রবক্তা হিসেবে গ্রেগর জোহান মেন্ডেলকে বংশগতিবিদ্যার প্রতিষ্ঠাতা বা জনক বলা হয়।
দীর্ঘ সাত বছর বিভিন্ন মটরশুঁটি গাছের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তিনি বংশগতির দুটি সূত্র প্রবর্তন করেন। তার সূত্রগুলোকে মেন্ডেলবাদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। মেন্ডেলবাদকে আধুনিক জিনতত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
মেন্ডেলের সূত্রের ব্যতিক্রম কী কী?
উত্তরঃ বংশগতি সম্পর্কিত মেন্ডেলের সূত্রের ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় বিভিন্ন পরিক্ষায়। এ ব্যতিক্রমকে নিম্নোক্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়:
আপাত ব্যতিক্রম : ১ ম সূত্রের ব্যতিক্রম :
ক. অসম্পূর্ণ প্রকটতা
খ. সমপ্রকটতা
গ. ঘাতক জিন
প্রকৃত ব্যতিক্রম : ২ য় সূত্রের ব্যতিক্রম :
ক. পরিপূরক জিন
খ. এপিস্ট্যাসিস।
আশা করি “দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন, জীববিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি)”এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ