কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
কীবোর্ড বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ
- Flexible Keyboard
- Mechanical Keyboard
- Membrane Keyboard
- Ergonomic Keyboard
- Gaming Keyboard
- Wireless Keyboard
- Multimedia Keyboard
- Handheld Keyboard
- Vertical Keyboard
- Virtual Keyboard
- Projection Keyboard
চলুন নিচে প্রত্যেকটি কীবোর্ডগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
১. Flexible Keyboard
এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর আকার প্রচুর নমনীয় (flexible) হয়ে থাকে। কারণ, সিলিকন এর মতো অনেক নরম পদার্থ দিয়ে এই কীবোর্ড গুলোকে তৈরি করা হয়।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে আমরা সহজে ছোট আকারে ভাঁজ করে নিতে পারি।
Flexible keyboard গুলো সাংঘাতিক portable, তাই নিজের পকেটে বা ব্যাগে ভরিয়ে যেকোনো জায়গাতে এদের নিয়ে যেতে পারবেন।
ছোট কম্পিউটার ইউসার এবং ট্যাবলেট ইউসার দ্বারা এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর ব্যবহার প্রচুর করা হয়।
২. Mechanical Keyboard
Mechanical keyboard গুলো হলো এমন কিছু computer keyboard যেগুলোর ক্ষেত্রে, প্রতিটি কীর নিচে রয়েছে একটি করে সুইচ।
এমনিতে, একটি সাধারণ keyboard এর ক্ষেত্রে এই সুইচ এর জায়গাতে রাবার ঝিল্লি (rubber membranes) গুলো ব্যবহার করা হয়।
এই ধরণের keyboard গুলোকে spring key switch এর সাথে তৈরি করা হয়। বর্তমান সময়ে এই ধরণের keyboard গুলোর চাহিদা কিন্তু প্রচুর।
তবে, এই কীবোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা রয়েছে, টাইপিং করার সময় কীবোর্ড থেকে প্রচুর শব্দ বের হয়ে থাকে।
৩. Membrane Keyboard
একটি ঝিল্লি (membrane) কীবোর্ড হলো এমন একটি কীবোর্ড যেখানে “keys” গুলো আলাদা আলাদা ভাবে পৃথক হয়ে থাকেনা।
দেখতে গেলে এই কীবোর্ড গুলো একটি Mechanical keyboard এর সম্পূর্ণ আলাদা।
এই ধরণের keyboard গুলো মূলত একটি pressure pads যেখানে একটি flat এবং flexible surface এর মধ্যে outlines এবং symbols গুলো print করা থাকে।
৪. Ergonomic Keyboard
প্রায় অনেক ব্যক্তিরা যারা নিয়মিত কম্পিউটারে টাইপিং এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করে থাকেন, দেখাগেছে যে তারা ক্রমাগত চাপের কারণে হাতের কব্জির সমস্যায় ভুক্তভুগি হয়ে থাকেন।
আর তাই, এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে মূলত এই ধরণের সমস্যা গুলোকে নজর রেখে বানানো হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা প্রচুর সুবিধার সাথে কাজ করতে পারেন।
৫. Gaming Keyboard
একটি গেমিং কীবোর্ড তুলনামূলক ভাবে আকারে অনেক ছোট থাকে যেটাকে মূলত গেম খেলার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
আজ অনেক বড় সংখ্যায় লোকেরা কেবল গেমিং এর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। আর তাই, এই ধরণের ইউসার দের জন্য কেবল গেমিং প্রয়োজনীয়তা গুলোর ওপরে নজর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে গেমিং কীবোর্ড গুলো।
একটি standard keyboard এর তুলনায় এই keyboard গুলোতে কম সংখ্যায় keys থেকে থাকে।
৬. Wireless Keyboard
আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই wireless devices গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে, আর এখন তো কম্পিউটার মাউস এবং কীবোর্ড গুলোকেও ওয়্যারলেস হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।
একটি wireless keyboard হলো এমন এক ধরণের কীবোর্ড যেটা ইউসারকে computers, tablets বা laptops এর সাথে radio frequencyর সাহায্যে যোগাযোগ করতে হাহায্য করে থাকে।
যেমন, WiFi, Bluetooth বা infrared technology ব্যবহার করে।
৭. Multimedia Keyboard
একটি multimedia keyboard এর মধ্যে প্রচুর media keys আপনারা পেয়ে যাবেন।
যেমন, e-mail client এবং Web browser সরাসরি চালু করার জন্য shortcut button, audio playback নিয়ন্ত্রণ করার button ইত্যাদি।
মূলত এভাবে বুঝে নিতে পারবেন যে, একটি multimedia keyboard এর মধ্যে আলাদা ভাবে কিছু media-control related keys দেওয়া থাকবে।
৮. Handheld Keyboard
Handheld কীবোর্ড গুলো পেশাদার গেমার দের দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল যারা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে চাইতেন।
যদি আপনি একজন গেমার বা টাইপিং এর কাজের জন্য কেবল একটি হাত ব্যবহার করার সীমাবদ্ধ আপনার রয়েছে, তাহলে এই ধরণের কীবোর্ড আপনার কাজে আসতে
৯. Vertical Keyboard
Vertical keyboard গুলো এক নির্দিষ্ট রকমের কীবোর্ড যেটাকে মূলত ব্যবহারকারীর হাতের চাপ দূর করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলো 3D ধারণার ওপরে ভিত্তিক। এই কীবোর্ড গুলো দুটো ভাবে বিভাজিত থাকে।
১০. Virtual Keyboard
Virtual keyboard গুলো মূলত software-powered keyboard হয়ে থাকে। যেভাবে আপনারা একটি standard keyboard এর ব্যবহার করে কম্পিউটারের স্ক্রিনে কিছু লিখতে পারবেন, ঠিক সেভাবেই এই ধরণের ভার্চুয়াল কীবোর্ড গুলোকে ব্যবহার করেও লিখতে পারবেন।
এই কীবোর্ড গুলো মূলত এক ধরণের সফটওয়্যার যেখানে কোনো physical keys থাকছেনা।
১১. Projection Keyboard
Projection কীবোর্ড গুলো মূলত virtual কীবোর্ড এর একটি রূপ বা প্রকার যেটাকে প্রায় যেকোনো জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলো যেকোনো ফ্ল্যাট এবং হার্ড পৃষ্ঠতলে (surface) কীবোর্ড এর চিত্র প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে লেজার এর ব্যবহার করে থাকে।
কীবাের্ড এর ব্যবহার
কী বোর্ড-এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। যেমন, কম্পিউটারে কীবাের্ডের বােতামের সাহায্যে টাইপ করা ছাড়াও কম্পিউটারকে প্রয়ােজনীয় সব ধরনের নির্দেশ প্রদান করা যায়। কী বাের্ডের সাহায্যে অক্ষর বা বর্ণ ও সংখ্যাসহ বিভিন্ন প্রকার টাইপের মাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত কম্পিউটারে প্রবেশ করা হয়।
কীবোর্ড কিভাবে কাজ করে?
কীবোর্ডের প্রত্যেক কী একটি বৈদ্যুতিক সুইচ এর সাথে একটি এনকোডার দ্বারা যুক্ত থাকে। কী এর সুইচ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন– সংস্পর্শ সুইচ (Contact switch), হাফ এফেক্ট (Half effect) সুইচ ইত্যাদি। কীবোর্ডের কোনো কি চাপলে এনকোডার সেই বর্ণের কোডের ডিজিটাল বৈদ্যুতিক সংকেত ০ বা ১ উৎপন্ন করে। ফলে একটি ইনপুট রেজিস্টারে সেই বর্ণের কেড লেখা হয়ে যায়।
তারপর প্রসেসর রেজিস্টারে চলে যায় এবং ইনপুট রেজিস্টারের লেখা মুছে যায়। সুতরাং, আবার কোনো কী চাপলে সেই বর্ণের কোড ইনপুট রেজিস্টারে উঠে যায়। কীবোর্ডের কী ভুল চাপা হলে তা বাতিল করার জন্য কী আছে। সেই কী চাপলে CPU ও মনিটরের লেখা মুছে আবার নতুন করে লেখা যায়। সুতরাং, পর্দার লেখা দেখে যেকোনো ভুল-ত্রুটি সহজেই সংশোধন করা যায়।
কীবোর্ডের সাহায্যে লেখা প্রোগ্রাম কোনো গৌণ মেমোরি ব্যবস্থা দ্বারা সেভ করে রাখা যায়।