মাোট সুদ কাকে বলে? মোট সুদের কয়টি উপাদান ও কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “মাোট সুদ কাকে বলে? মোট সুদের কয়টি উপাদান ও কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
মাোট সুদ কাকে বলে?
নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গৃহীত ঋণের জন্য ঋণ গ্রহীতা ঋণ দাতাকে যে বাড়তি অর্থ প্রদান করে, তাকে মোট সুদ বলে।
মোট সুদের কয়টি উপাদান ও কি কি?
মোট সুদের মধ্যে চারটি উপাদান থাকে। যথাঃ-
ক. নীট বা বিশুদ্ধ সুদ : মূলধন যা ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়, সেই মূলধনের আর্থিক মূল্য কেবল হিসাব করে যে অর্থ প্রদান করতে হয়, তা হলো বিশুদ্ধ সুদ।
খ. ঝুঁকি বহনের বীমা : ঋণ দাতা যখন ঋণ দেয়, তখন সে ঝুঁকি নেয়। কাজেই ঝুঁকির কারণে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ঋণদাতা বিশুদ্ধ সুদের চেয়ে বাড়তি কিছু প্রাপ্তি গ্রহণ করে। এই বাড়তি প্রাপ্তি মোট সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
গ. ঋণ আদায় সংক্রান্ত অসুবিধার বিনিময় মূল্য : ঋণ দাতা ঋণ দেওয়ার কারণে কিছু কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। যেমন, কাউকে ৫ বছরের জন্য ঋণ দিলে সেই সময়ের আগে তার অর্থ প্রয়োজন পড়লেও ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে তা ফেরৎ পায় না। কাজেই একবার ঋণ দিলে তাকে বেশ কিছু সময়ের জন্য অসুবিধায় থাকতে হয়। সেই অসুবিধার মূল্য হিসাবে কিছু অর্থ প্রাপ্তি মোট সুদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
ঘ. ব্যবস্থাপনার পুরস্কার : প্রত্যেক ঋণ দাতাকে ঋণের ব্যবস্থা করতে গিয়ে কিছু ব্যয়ভার বহন করতে হয়। যেমন– তার হিসাবের খাতা রাখতে হয়, সময় দিতে হয় এবং ঋণ গ্রহীতার দুয়ারেও তাকে ঘুরতে হয়। এসব কারণে বিশুদ্ধ বা নীট সুদের উপরে আরো কিছু অর্থ প্রাপ্তি ঋণ দাতা আশা করে। সুতরাং ব্যবস্থাপনার পুরস্কার হিসাবে কিছু অর্থ প্রাপ্তি মোট সুদে অন্তর্ভুক্ত হয়।
কাজেই মোট সুদ বলতে নীট বা বিশুদ্ধ সুদসহ পারিশ্রমিক হিসাবে দাবীকৃত বাড়তি অর্থ– এসবের সমন্বিত প্রাপ্তি বুঝানো হয়। এভাবে বলা যায় যে, নীট বা বিশুদ্ধ সুদসহ ঋণ দাতার আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রত্যাশিত প্রাপ্তিকে মোট সুদ বলে।