তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন এর বিষয়।
আমি জানি তোমরা “তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ। তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?
তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
১. দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ আয়ন প্রদানে সক্ষম।
কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় আয়ন উৎপন্ন করতে সক্ষম নয়।
২. তড়িৎ বিশ্লেষ্য যৌগসমূহ সাধারণত পানিতে দ্রবণীয়।
কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য যৌগসমূহ সাধারণত পোলার দ্রাবক পানিতে অদ্রবণীয়, তবে অপোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়।
৩. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থগুলি তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম।
কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলি তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম নয়।
৪. তড়িৎ বিশ্লেষ্য যৌগগুলি উদ্বায়ী হয় না।
কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য যৌগগুলি সাধারণত উদ্বায়ী হয়।
৫. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থগুলির গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ হয়
কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলির গলনাংক ও স্ফুটনাংক নিম্ন হয়।
আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি? বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”