উইন্ডোজে কিবোর্ড ও মাউসের ব্যবহার: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “উইন্ডোজে কিবোর্ড ও মাউসের ব্যবহার” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
উইন্ডোজে কিবোর্ড ও মাউসের ব্যবহার
উইন্ডোজে কিবোর্ডের ব্যবহার
কিবোর্ড অনেক জনপ্রিয় একটি ইনপুট ডিভাইস। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডস (DOS) পরিবেশে চালিত প্রোগ্রামগুলোতে কিবোর্ডের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করা হয়। উইন্ডোজে মাউসের ব্যবহারই সুবিধাজনক।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিবোর্ড হতে কমান্ড প্রয়োগও সুবিধাজনক। উইন্ডোজে বিভিন্ন মেনু বা কমান্ড অপশনের নামের যে অক্ষর আন্ডারলাইন করা থাকে Alt কি চেপে ধরে সে অক্ষর টাইপ করলে মেনুটি ওপেন হয় বা কমান্ড অপশনটি কার্যকর হয়।
কিবোর্ডের অ্যারো কি চেপে কোনো মেনুস্থ অপশন কমান্ড নির্বাচন করে এন্টার কি চাপলে কমান্ডটি কার্যকরী হয়। ডায়ালগ বক্সের টেক্সট বক্সে কিবোর্ড হতে টাইপ করে কোনো ফাইলের নাম নির্বাচিত করা হয়।
মাউস পয়েন্টার দিয়ে মেনু সিলেক্ট করে কমান্ড প্রয়োগের চেয়ে অনেক সময় কিবোর্ডের কিছু কি চেপে দ্রুত কাজ করা যায়। কমান্ড প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ সমস্ত কিগুলোকে শর্টকাট কি বলা হয়। যেমন— কপি করার জন্য Edit মেনুতে ক্লিক করে Cap অপশনে ক্লিক না করে কিবোর্ড থেকে Ctrl+C কিদ্বয় চাপলেই হয়।
উইন্ডোজে মাউসের ব্যবহার
কম্পিউটারে সরু তার দিয়ে সংযুক্ত ইঁদুরের মতো দেখতে ছোট যন্ত্রটির নাম মাউস। উইন্ডোজ প্রোগ্রামে মাউসের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাউস ছাড়া উইন্ডোজে কাজ করা কষ্টকর।
উইন্ডোজের অনেক অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামে এমন কিছু অপশন রয়েছে যেগুলো মাউস ছাড়া ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। উইন্ডোজ পরিবেশে কাজ করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে মাউস কিভাবে কাজ করে। এ
র সাথে মাউসের ব্যবহার, ক্লিক করার পদ্ধতি, ড্রাগ করার পদ্ধতি, উইন্ডো পরিচিতি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে, যা কাজ করার প্রতিটি পর্যায়ে প্রয়োজন হবে। মাউসের সামনের ভাগ তিনভাগ/দুইভাগে বিভক্ত। এগুলোকে বলা হয় মাউসের বাটন (Button) বা মাউসের বোতাম।
দু’একটি কাজ বাদে বাম পাশের অংশ বা বাম দিকের বোতামই সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই মাউসের বোতাম চাপা মানেই বুঝতে হবে বাম বোতাম। প্রত্যেক মাউসের সাথে এর নিজস্ব ড্রাইভার আছে। উইন্ডোজে কাজ করার জন্য আপনার কম্পিউটারে মাউস ইন্সটল করতে হবে।
মাউস পয়েন্টার
মাউস ইন্সটল করা থাকলে উইন্ডোজ প্রোগ্রামে ঢুকলেই পর্দায় একটি অ্যারো চিহ্ন দেখতে পাবেন। মাউস নাড়ালে অ্যারো চিহ্নটিও নড়বে। কম্পিউটারের ভাষায় একে মাউস পয়েন্টার বলা হয়।
মাউস পয়েন্টার মুভ করিয়ে কোনো মেনু বা কমান্ড অপশনে নিয়ে বাম বোতাম চেপে দ্রুত কমান্ড নির্বাচন করা, কোনো মেনু ওপেন করা, আইকন নির্বাচন করা, আইকন মুভ করা, কোনো প্রোগ্রাম চালু করা, উইন্ডোর আকৃতি পরিবর্তন করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা যায়।
ক্লিক করা
মাউস পয়েন্টার মুভ করিয়ে কোন কমান্ড অপশনে নিয়ে মাউসের বাম বোতাম চাপ দিয়ে কমান্ড নির্বাচন করা হয়।
এভাবে বাম বোতাম একবার চাপাকে বলা হয় ক্লিক করা। না থেমে পরপর দুই বার ক্লিক করাই হচ্ছে ডাবল ক্লিক (Double Click) করা বুঝায়। উইন্ডোজে ক্লিক ও ডাবল ক্লিক (Double Click) খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আইবিম, জলঘরি
মাউস পয়েন্টারটি সব সময় অ্যারো চিহ্নের মতো দেখা যাবে না। কার্যক্ষেত্রে এটি বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে।
কোনো কমান্ড প্রয়োগ করার সময় এটি জলঘড়ির আকৃতি ধারণ করে। উইন্ডোজের কোনো প্রোগ্রামের ওয়ার্কিং এরিয়াতে মাউস পয়েন্টার ইংরেজি (I) অক্ষরের আকার ধারণ করে। একে আইবিম বলা হয়।
ড্র্যাগ করা
ড্র্যাগ করার অর্থ হচ্ছে কোনো কিছুতে বা কোথাও মাউস পয়েন্টার ক্লিক করে মাউসের বোতাম চাপ রেখেই উপরে উঠা, নিচে নামা, ডানে অথবা বায়ে যাওয়া।
ড্র্যাগ করে আইকন মুভ করা, উইন্ডোর সাইজ পরিবর্তন করা ইত্যাদি কাজ করা হয়। স্ক্রলবার ড্র্যাগ করে কমান্ড অপশন নির্বাচন করা হয়।
আশা করি “উইন্ডোজে কিবোর্ড ও মাউসের ব্যবহার”এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ