রাফেজ কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “রাফেজ কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
রাফেজ কি?
খাদ্যের অপাচ্য অংশকে রাফেজ বলে। এটা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে যে, বিভিন্ন প্রকার ফলমূল-সবজির তন্তুময় অংশকেই রাফেজ বলে।
ফুড ফাইবার বা খাদ্যের আঁশের কথা তোমাদের অবশ্যই জানা আছে। এই ফুড ফাইবার বা খাদ্যের আঁশ হচ্ছে সেলুলোজ।
এই সেলুলোজই হচ্ছে রাফেজ।
উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত ।এই সেলুলোজ নির্মিত কোষপ্রাচীরই হচ্ছে রাফেজ। সেলুলোজ হচ্ছে গ্লুকোজের পলিমার। অনেকগুলো গ্লুকোজের অনু একত্রে যুক্ত হয়ে সেলুলোজ গঠন করে।
জেনে রাখা ভাল : মানুষ সেলুলোজ বা রাফেজ হজম করতে পারে না বলে এটি পরিপাক তন্ত্রে প্রায় অপরিবর্তিত অবস্হায় থেকে যায় ।
রাফেজযুক্ত খাবার কি কি?
রাফেজযুক্ত খাবারগুলো হচ্ছে সকল প্রকার সবুজ সবজি(যেমন,লালশাক,কলমি শাক ইত্যাদি)
ফল(যেমন,আপেল,কমলা ইত্যাদি),ইসব গুলের ভূষি ইত্যাদি।
রাফেজ কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে?
উত্তর: নিম্ন লিখিতভাবে রাফেজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
রাফেজ বা আঁশ জাতীয় খাবার পানি ধরে রেখে মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীভূত হয়।
রাফেজ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর:নিম্ন লিখিত কারণে শরীরের জন্য রাফেজ গুরুত্বপূর্ণ।
১। এটি পানি ধরে রেখে মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীভূত হয়।
২।ইহা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে থাকে।
৩।ইহা খাদ্যে উপস্হিত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ শুষে নিয়ে খাদ্যনালি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ।
৪।মে সব মহিলা গর্ভবতী , তাদের জন্য ফুড ফাইবার বা রাফেজ খুব উপকারি। গর্ভাবস্হায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা প্রতিরোধ করতে হলে এই রাফেজ যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
৫।রাফেজযুক্ত খাবার বা আঁশ জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপকারি।
৬।ইহা মানব দেহের স্হূলতা হ্রাস ও দেহে চর্বি জমার প্রবণতা কমায়।
৭।ক্ষুধা প্রবণতা হ্রাস করে বলে রোযার মাসে বেশি করে রাফেজযুক্ত খাবার খাওয়া বেশ উপকারি।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে রাফেজ কি? বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”