পরমাণুর মৌলিক কণিকা কাকে বলে? পরমাণুর মৌলিক কণিকা কয়টি ও কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “পরমাণুর মৌলিক কণিকা কাকে বলে? পরমাণুর মৌলিক কণিকা কয়টি ও কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
পরমাণুর মৌলিক কণিকা কাকে বলে?
যে সকল সূক্ষ্ম কণা দ্বারা পরমাণু গঠিত তাদের মৌলিক কণিকা বলে।
পরমাণুর মৌলিক কণিকা কয়টি ও কি কি?
পরমাণুর মৌলিক কণিকা তিনটি। যথা– ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন।
ইলেকট্রন : পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা ইলেকট্রন। একটি ইলেকট্রনের ভর একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় 1838 গুণ হালকা। ইলেক্ট্রনের চার্জ ঋণাত্মক এবং ইহা পরমাণুর বাহিরের খোলকে বিভিন্ন স্তরে সাজানো থাকে। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে স্যার জে. জে. থমসন ক্যাথোড রশ্মির পরীক্ষার মাধ্যমে ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন।
প্রোটন : পরমাণুতে ধনাত্মক চার্জের যে কণিকা বিদ্যমান তা-ই প্রোটন। এর আধান ইলেকট্রনের আধানের সমান। পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াসে ইহা অবস্থান করে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড প্রোটন আবিষ্কার করেন।
নিউট্রন : নিউট্রনের কোন আধান নেই। আধানবিহীন হওয়ার কারণেই এর এরূপ নামকরণ হয়েছে। প্রোটনের মত পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াসে ইহা অবস্থান করে। ইলেক্ট্রন প্রোটনের মত নিউট্রনও একটি মৌলিক কণিকা। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী জেমস চ্যাডউইক সর্বপ্রথম নিউট্রন সম্পর্কে ধারণা দেন এবং এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে হাইড্রোজেন ব্যতীত অন্য যে কোন পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউট্রন বিদ্যমান।