দ্বাদশ অধ্যায় : আমাদের জীবনে রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “দ্বাদশ অধ্যায় : আমাদের জীবনে রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
দ্বাদশ অধ্যায় : আমাদের জীবনে রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন
প্রশ্ন-১. সাবান প্রস্তুতির কয়েকটি উপকরণের নাম লিখ।
উত্তর : তৈল, চর্বি, পামিটিক এসিড, এস্টার ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২. সাবান এর মূল উপাদান কী?
উত্তর : তৈল ও চর্বি।
প্রশ্ন-৩. সাবান এর সংকেত কি?
উত্তর : C17H35COONa।
প্রশ্ন-৪. সাবান প্রস্তুতিতে উপজাত হিসেবে কী পাওয়া যায়?
উত্তর : গ্লিসারিন।
প্রশ্ন-৫. পানিতে কম দ্রবণীয় এমন একটি সাবানের উদাহরণ দাও।
উত্তর : সোডিয়াম সাবান।
প্রশ্ন-৬. কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় কোন সাবান?
উত্তর : সোডিয়াম সাবান।
প্রশ্ন-৭. কোন সাবান পানিতে অধিক দ্রবণীয়?
উত্তর : পটাসিয়াম সাবান।
প্রশ্ন-৮. শ্যাম্পু ও শেভিং ক্রিম প্রস্তুতিতে কোন সাবান ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : পটাসিয়াম সাবান।
প্রশ্ন-৯. সাবানের অণুতে কয়টি অংশ থাকে?
উত্তর : ২ টি।
প্রশ্ন-১০. সাবানের কোন অংশ পানিতে দ্রবণীয়?
উত্তর : হাইড্রোফিলিক।
প্রশ্ন-১১. সাবানের কোন অংশ পানিতে অদ্রবণীয়?
উত্তর : হাইড্রোফোবিক।
প্রশ্ন-১২. ভিনেগার কাকে বলে?
উত্তর : ইথানয়িক এসিডের ৫% – ৬% জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার বলে।
প্রশ্ন-১৩. টয়লেট ক্লিনারের মূল উপাদান কি?
উত্তর : টয়লেট ক্লিনারের মূল উপাদান হলো NaOH (সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড)।
প্রশ্ন-১৪. গ্লাস ক্লিনারের মূল উপাদান কি?
উত্তর : গ্লাস ক্লিনারের মূল উপাদান হলো তরল অ্যামোনিয়া (NH₃)।
প্রশ্ন-১৫. কাপড় কাঁচার সোডার সংকেত কি?
উত্তর : কাপড় কাঁচার সোডার সংকেত হলো সোডিয়াম কার্বনেট (Na₂CO₃)।
প্রশ্ন-১৬. সাবান কি?
উত্তর : সাবান হচ্ছে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লবণ।
প্রশ্ন-১৭. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত কি?
উত্তর : ব্লিচিং পাউডারের সংকেত Ca(OCl)Cl (ক্যালসিয়াম হাইপো ক্লোরাইড)।
প্রশ্ন-১৮. কোমল পানীয় কি?
উত্তর : কোমল পানীয় হচ্ছে পানিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দ্রবণ।
প্রশ্ন-১৯. ডিটারজেন্ট কী?
উত্তর : দীর্ঘ কার্বন শিকলযুক্ত অ্যালকাইল বেনজিন সালফোরিক এসিডের সোডিয়াম লবণকে ডিটারজেন্ট বলে।
প্রশ্ন-২০. গ্লুকোজের সংকেত লেখ।
উত্তর : গ্লুকোজের সংকেত C₆H₁₂O₆।
প্রশ্ন-২১. ফরমালিন কী?
উত্তর : ফরমালিন হচ্ছে এক ধরনের পচনরোধক রাসায়নিক পদার্থ। ফরমালিনে শতকরা ৪০% ফরমালডিহাইড থাকে।
প্রশ্ন-২২. সাবান বা ডিটারজেন্টের কোন অংশ তেল বা গ্রিজে দূরীভূত হয়?
উত্তর : সাবান বা ডিটারজেন্টের হাইড্রোফোবিক অংশ তেল বা গ্রিজে দূরীভূত হয়।
প্রশ্ন-২৩. বেকিং পাউডারের ব্যবহার লেখ।
উত্তর : কেক, রুটি বা পিঠা ফোলানোর জন্য বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-২৪. সাবানায়ন প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে কী পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সাবানায়নে উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন-২৫. কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক সংকেত লেখ।
উত্তর : কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক সংকেত হলো সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3)।
প্রশ্ন-২৬. ব্লিচিং পাউডার কোন প্রক্রিয়ায় বিরঞ্জক ক্রিয়া করে?
উত্তর : ব্লিচিং পাউডার জারণ প্রক্রিয়ায় বিরঞ্জক ক্রিয়া করে।
প্রশ্ন-২৭. ফরমালিন এ শতকরা কতভাগ ফরমালডিহাইড থাকে?
উত্তর : ফরমালিন এ শতকরা 40 ভাগ ফরমালডিহাইড থাকে।
ফল পাকাতে কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ফল পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং ইথ্রেল বা ইথোফেন ব্যবহার করা হয়।
রসায়ন বছর ২০১১ সালের স্লোগান কী ছিল?
উত্তরঃ রসায়ন বছর ২০১১ সালের স্লোগান ছিল “রসায়নই আমাদের জীবন এবং রসায়নই আমাদের ভবিষ্যৎ”।
টয়লেট ক্লিনারের মূল উপাদান NaOH- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ NaOH তীব্র ক্ষার বিধায় NaOH টয়লেট ক্লিনার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
NaOH দ্রবণে সম্পূর্নরুপে বিয়োজিত হয়। সম্পূর্ণ রূপে বিয়োজিত হয় বলে তীব্র ক্ষয়কারক। NaOH আয়নের ক্ষয় কারক ভূমিকার জন্য টয়লেট পরিষ্কারকের মূল উপাদান রূপে NaOH ব্যবহৃত হয়।
তৈল ও চর্বি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : তৈল ও চর্বি হলো প্রোপেন-1, 2, 3-ট্রাই অল (গ্লিসারিন) ও উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের এস্টার। এদেরকে একত্রে লিপিড বলে।
গ্লিসারিন ও উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের যে মিশ্রণের গলনাঙ্ক 20°C এর বেশি এবং যাতে অধিক পরিমাণ সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের গ্লিসারাইড থাকে তাকে চর্বি বলে। আর যে মিশ্রণের গলনাঙ্ক 20°C এর কম এবং যাতে অধিক পরিমাণ অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের গ্লিসারাইড থাকে তাকে তৈল বলে। সাধারণ তাপমাত্রায় চর্বি কঠিন ও তৈল তরল থাকে।
রান্নায় ভিনেগার ব্যবহৃত হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইথানয়িক এসিডের 6%-10% জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার বলে। ভিনেগার খাবার তৈরিতে ও খাদ্য সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে। এ দ্রবণ মৃদু অম্লীয় বলে খাদ্যে ব্যবহার করলে খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট জন্মাতে পারে না। তাই এটি রান্নায় ব্যবহৃত হয়।
সাবান ও ডিটারজেন্টর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর : সাবান ও ডিটারজেন্টর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ
সাবান
- সাবান হলো দীর্ঘ কার্বন শিকলবিশিষ্ট ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ।
- সাবান খর পানিতে ভালো কাজ করতে পারে না।
- ডিটারজেন্ট এর চেয়ে পরিষ্কারকরণের ক্ষমতা সাবানের কম।
ডিটারজেন্ট
- ডিটারজেন্ট হলো দীর্ঘ কার্বন শিকলবিশিষ্ট বেনজিন সালফোনিক এসিডের সোডিয়াম লবণ।
- ডিটারজেন্ট খর পানিতেও ভালো কাজ করতে পারে।
- সাবানের চেয়ে পরিষ্কারকরণের ক্ষমতা ডিটারজেন্টের বেশি।
ফল পাকাতে অতিরিক্ত ইথিলিন ব্যবহার করা উচিত নয় কেন?
উত্তরঃ অতিরিক্ত ইথিলিন মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে। এটি চোখ, ত্বক, ফুসফুস ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। এর প্রভাবে অক্সিজেন সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত ইথিলিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
চিংড়ি মাছের ঘেরে মাঝে মাঝে চুন যোগ করা হয় কেন?
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম অক্সাইডের বাণিজ্যিক নাম চুন। এর সংকেত CaO। এটি একটি ক্ষারীয় পদার্থ। চিংড়ি ঘেরের পানি অম্লীয় হলে মাছের শরীরে ঘা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য চিংড়ি ঘেরের পানিতে চুন যোগ করলে পানির এসিডিটি প্রশমিত করে pH বৃদ্ধি করে। এতে করে মাছের শরীরে ঘা সৃষ্টি হয় না। এজন্য চিংড়ি ঘেরের পানিতে মাঝে মাঝে চুন যোগ করা হয়।
ডিটারজেন্টে ফসফেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ ডিটারজেন্টের ময়লা পরিষ্কারক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কোন কোন ডিটারজেন্টে ফসফেট ব্যবহার করা হয়। জলজ উদ্ভিদ, শৈবাল এদের বৃদ্ধির জন্য ফসফেট ভালো সার। ফসফেট এর প্রভাবে এসব জলজ উদ্ভিদের পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যায়। এইসব জলজ উদ্ভিদের জীবনচক্র শেষে পচনের জন্য পানিতে থাকা দ্রবীভূত অক্সিজেন খরচ হয়ে যায়। দ্রবীভূত অক্সিজেনের অভাবে প্রাণীকুল মারা যায়।
এজন্য ডিটারজেন্ট ফসফেট এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ডিটারজেন্ট কীভাবে ময়লা পরিষ্কার করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ডিটারজেন্ট পানিতে দ্রবীভূত করলে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ডিটারজেন্ট আয়ন ও ধনাত্মক চার্জযুক্ত সোডিয়াম আয়নে পরিণত হয়। ডিটারজেন্ট আয়নের এক প্রান্ত ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত থাকে এবং পানি কর্তৃক আকর্ষিত হয়। অপর অংশ পানি বিকর্ষি যা তেল বা গ্রীজে দ্রবীভূত হয়। তাই ময়লাগুলো পানি বিকর্ষি অংশগুলোতে দ্রবীভূত হয়। এরপর কাপড়কে ঘষা দিলে তেল বা গ্রিজ সম্পূর্ণ রূপে পানি আকর্ষী প্রান্তগুলো দ্বারা আবৃত হয়ে পড়ে। এর ফলে ময়লা বা তেল ও গ্রিজ অণুগুলোর চতুর্দিকে ঋণাত্মক আধানের বলয় সৃষ্টি হয়। ফলে এগুলো সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দূরত্বে অবস্থান করতে চায়। এতে করে পানিতে তেল ও গ্রিজের অবদ্রব্য সৃষ্টি হয় বা পানিতে ধৌত হয়ে যায়।