গ্যাস ওয়েল্ডিং কাকে বলে? কুল্যান্ট ব্যবহারে সতর্কতা লিখ: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “গ্যাস ওয়েল্ডিং কাকে বলে? কুল্যান্ট ব্যবহারে সতর্কতা লিখ” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
গ্যাস ওয়েল্ডিং কাকে বলে?
যে কোন একটি দাহ্য গ্যাস ও অক্সিজেনের সংমিশ্রণ প্রজ্জ্বলনে সৃষ্ট প্রচণ্ড উত্তাপ ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক ধাতব খণ্ডের মধ্যে জোড়া দেওয়ার প্রক্রিয়াকে গ্যাস ওয়েল্ডিং (Gas welding) বলে। গ্যাস ওয়েল্ডিং প্রধানত ৪ প্রকার, যথাঃ-
১. অক্সি-অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং
২. অক্সি-হাইড্রোজেন গ্যাস ওয়েল্ডিং
৩. এয়ার এসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং
৪. প্রেসার গ্যাস ওয়েল্ডিং।
কুল্যান্ট ব্যবহারে সতর্কতা লিখ
কুল্যান্ট ব্যবহারে সতর্কতাসমূহ নিম্নরূপঃ-
(১) সল্যুবল অয়েল কাটিং ফ্লুইড-এর অয়েল ওয়াটার রেশিও মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে নিতে হয় এবং পানি বাষ্প হয়ে উড়ে গেলে পানির পরিমাণ কমে যায়। এমন অবস্থায় পরিমাণমতাে পানি দিয়ে কুল্যান্টের রেশিও ঠিক রাখতে হয়।
(২) কাটিং ফ্লুইডে ব্যাকটিরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। এমন অবস্থায় কাটিং ফ্লুইড মাঝে মাঝে বদলিয়ে নিতে হবে।
(৩) কাটিং ফ্লুইড-এর সংস্পর্শে শরীরের অঙ্গ বেশিক্ষণ রাখা যাবে না। হাতে লেগে গেলে তাড়াতাড়ি ধুয়ে নিতে হবে নতুবা স্কিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
(৪) কাটিং ফ্লুইড দেওয়ার গতি জবের ব্যাস এবং জব-ম্যাটারিয়ালের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হয়।
(৫) ফেরাস মেটালের জন্য যে কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা হয় সেগুলােকে ননফেরাস মেটাল মেশিনিং-এ ব্যবহার করা উচিত নয়।