একাদশ অধ্যায় : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “একাদশ অধ্যায় : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
একাদশ অধ্যায় : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
উত্তরঃ নরওয়ের।
ওআইসির বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ওআইসির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৭।
কমনওয়েলথের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তরঃ কমনওয়েলথের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৩।
আন্তর্জাতিক আদালতের সদর দফতর কোথায়?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক আদালতের সদর দফতর নেদারল্যান্ডের দিয়ে হেগ শহরে অবস্থিত।
OIC- এর পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তরঃ OIC- এর পূর্ণরূপ হলো– Organisation of Islamic Co-operation.
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন কয়টি?
উত্তরঃ জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ছয়টি।
অছি এলাকা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জনপদের আলাদা সত্তা আছে কিন্তু সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় তাকে অছি এলাকা বলে।
আইসিআরসি (ICRC) কি? এটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তরঃ আইসিআরসি (ICRC) একটি বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা। এর পূর্ণরূপ হলো– International Committee of the Red Cross। ১৮৬৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর জেনেভা সুইজারল্যান্ড।
ওআইসি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? এর সদর দপ্তর কোথায়? এর সদস্য দেশ কয়টি?
উত্তরঃ ওআইসি (OIC) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দাতে অবস্থিত। বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭টি।
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য লিখ।
উত্তরঃ জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–
১. আন্তর্জাতিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
২. বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা;
৩. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা;
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের সব মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা;
৫. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘের সৃষ্টি কেন হয়?
উত্তরঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে সৃষ্টি হয়েছিল ‘লীগ অব নেশসন’। কিন্তু ‘লীগ অব নেশনস’-এর ব্যর্থতা ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বের তৎকালীন নেতারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্যে আরো একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ‘লীগ অব নেশসন’ এর ধ্বংসাবশেষের ওপরই গড়ে উঠেছে জাতিসংঘ।