অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া
কোন দ্রবণে দুই বা ততোধিক বিক্রিয়ক বিক্রিয়া করে যে উৎপাদ গঠন করে তাদের মধ্যে কোন একটি উৎপাদ যদি অধঃক্ষিপ্ত হয় তবে সেই বিক্রিয়াকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
এক্ষেত্রে দ্রাবকে উৎপাদ যৌগটি পাত্রের তলায় কঠিন অবস্থায় তলানি হিসেবে জমা হয়।
যেমনঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের মধ্যে সিলভার নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণ যোগ করলে সিলভার ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে সিলভার ক্লোরাইড এর দ্রবণীয়তা পানিতে অত্যন্ত কম হওয়ায় তা পাত্রের নিচে তলানি হিসেবে জমা হয়।
অর্থাৎ অধঃক্ষেপ পড়ে।
NaCl(aq) + AgNO₃ (aq) ---------> AgCl (s) + NaNO₃(aq)
অন্যদিকে সোডিয়াম নাইট্রেট পানিতে দ্রবণীয় হওয়াই এটি অধঃক্ষিপ্ত হয় না।
আবার, অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর জলীয় দ্রবণ যোগ করলে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের পাত্রের নিচে সাদা অধঃক্ষেপ জমা হয়। অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড পানিতে অদ্রবণীয় হওয়ায় পাত্রের নিচে অধঃক্ষেপ পড়ে।
অন্যদিকে সোডিয়াম ক্লোরাইড পানিতে দ্রবণীয় হওয়াই এটি কোন অধঃক্ষেপ তৈরি করে না।
AlCl₃(aq) + NaOH(aq) --------> Al(OH)₃(s) + NaCl(aq).
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”