লবণ কি বা কাকে বলে?: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “ লবণ কি বা কাকে বলে?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
লবণ কি বা কাকে বলে?
লবণ ঃ ক্ষারের ধনাত্বক অংশ এবং এসিডের ঋনাত্বক অংশ যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে লবণ বলে।
KOH + HCl --------> KCl + H₂O
এই বিক্রিয়ায় ক্ষার KOH এর ধনাত্বক অংশ K+ আয়ন এবং HCl এর ঋনাত্বক অংশ Cl- আয়ন যুক্ত হয়ে KCl লবণ গঠন করে।
NH₄OH + HCl ------> NH₄Cl + H₂O
এখানে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্রিয়া অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও পানি গঠন করে। বিক্রয়ায় প্রাপ্ত অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড একটি লবণ।
লবণ গুলো আয়নিক যৌগ হয়ে থাকে। আয়নিক যৌগ হওয়ায় এরা কেলাস বা ল্যাটিস গঠন করে। লবণ কঠিন অবস্হায় এর ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারে সজ্জিত থাকায় এরা কঠিন অবস্হায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তবে গলিত বা দ্রবীভূত অবস্হায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে। সকল আয়নিক লবণ পানিতে দ্রবনীয়।
তবে আমরা খাবার লবণ হিসেবে NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড) ব্যবহার করি। এ লবণ আমাদের শরীরে ইলেক্টোলাইটের চাহিদা পূরণ করে। অতিরিক্ত লবণ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খাবার লবণ আমরা সমূদ্রের পানিকে বাষ্পীভূত করে সংগ্রহ করি। তবে চিলিতে খাবার লবণের খনি রয়েছে। সমূদ্রের পানি থেকে যে লবণ সংগ্রহ করা হয় তাতে NaCl এর সাথে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এর লবণ গুলি মিশ্রিত থাকে। পরে এ খাদ্য লবণ কে বিশুদ্ধ করা হয়।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে লবণ কি বা কাকে বলে? বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”