রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা
রাদারফোর্ড ও বোর উভয়ে পরমাণু মডেলের ব্যাখ্যা করলেও তাদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য বিদ্যামান আছে।
নিচে রাদারফোর্ড ও বোর মডেলের তুলনা করা হলোঃ
সাদৃশ্যঃ
১. রাদারফোর্ড ও বোর মডেল দ্বারা শুধু এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করা যায়।
২. উভয় মডেল অনুসারে পরমাণুর অভ্যন্তরস্থ বেশিরভাগ স্থান ফাঁকা।
৩. রাদারফোর্ড ও বোর মডেল অনুসারে পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক আধান ও প্রায় সমগ্র ভর কেন্দ্রীভূত থাকে।
বৈসাদৃশ্যঃ
১. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে শক্তিস্তরের আকার ও আকৃতি সম্বন্ধে কোন ধারণা দেওয়া হয়নি।
কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে বৃত্তাকার শক্তিস্তরের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
২. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সাহায্যে পারমাণবিক বর্ণালী ব্যাখ্যা করা যায় না।
কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে বর্ণালী সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
৩. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগের ধারণা দেয় না।
কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
৪. শক্তির শোষণ বা বিকিরণ সম্বন্ধে কোন ধারনা রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে দেওয়া হয়নি।
কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে শক্তির শোষণ ও বিকিরণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”