রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ উক্তি: আপনার জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে তুলবে। আমাদের ওয়েবসাইট হলো উক্তির ভান্ডার। এখানে সব রকমের নতুন নতুন ও সুন্দর সুন্দর উক্তি পেয়ে যাবেন। এই সব উক্তির মধ্যের একটি হলো রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ উক্তি। তো চলুন উক্তি গুলো মধুর ভাবে পড়ে নেওয়া যাক।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ – ২১ জুন ১৯৯১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কবি ও গীতিকার। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম “বাতাসে লাশের গন্ধ”। এই কবির স্মরণে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠেখালিতে গড়ে উঠেছে “রুদ্র স্মৃতি সংসদ”।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ উক্তি
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন্য হতে পারে,,সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন্য হতে পারে,,তবুও ভালোবাসা থেকে যায়,,হয়তো আক্ষেপেনয়তো অপেক্ষায়।—-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমি একাএই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মত আমি একা।
কে থাকে এমন একলা থাকায়কে ডাকে অমন নিরব ডাকায়।
যুবতী বুক থেকে ঝলমলে তলপেট উলঙ্গ কোরেবিনিময়ে দুখানা ঝলসানো রুটি নিলো।
বাড়াই তৃষ্ণার হাত ফিরে আসে শূন্যতাকে ছুঁয়ে।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন – সুতো ধ ’রে ,আমি শুধু যাই দূরে।
নিদ্রার বুকে মাথা রেখে জেগে আছি আজোঅনিদ্রা মিশে গেছে বুকের রক্তে।
দূরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশী নিকটে ছিলাম,
না-পাওয়া ব্যথার আছে উদ্ধার,পাওয়ার বেদনা প্রতিকারহীন ।
এমন কি ভালোবাসাওইদানীং আমাকে আরভালোবাসে না।
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব!কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা!কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা!
এবং জন্ম মানেই মৃত্যুর প্রতি অমােঘ যাত্রা
প্রেম দুর্বোধ্য, নারী দুর্বোধ্যএবং তুমিও তোমারপ্রেমের মতোই দুর্বোধ্য।
আঁকড়ে থেকো না কিছু।যে যাবার তাকে যেতে দাওযে ফেরার সেতো ফিরবেই..
এমন কি ভালোবাসাওইদানীং আমাকে আরভালোবাসে না।
চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয় ,বিচ্ছেদ নয় ,চলে যাওয়া মানেই নয় বন্ধন ছিন্নকরা আর্দ্র রজনী ।চলে গেলে আমারো অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না থাকা জুড়ে…____রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায় । আগে হতোনাভুলবশত অনেক ভুল হয় ইদানিং আমার ।
দিচ্ছো ভীষন যন্ত্রনাবুঝতে কেন পাচ্ছ না ছাইমানুষ আমি, যন্ত্র না।
নীলাকে কখনো নীল শাড়ি পরতে দেখিনি।
হয়েছো গোপন ঘুন, শাঁস কাটো লুকায়ে ভেতরে –পুড়ে মরি, কেমনে গো আমি তারে বাইরে দ্যাখাবো!
নিজের কাছে নিজেই আমিপ্রশ্নবোধক রেখা !
প্রত্যেকের বুকের নিভৃতে কিছু দগ্ধ ক্ষত থাকে লুকানো ,কিছু অসম্পূর্ণ নির্মান , ভাংগাচোরা গেরস্হালি ঘরদোর ,প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু নিদ্রাহীন রাত্রি থাকেযাকে চিরদিন নষ্ট নোখের মতো রেখে দিতে হয় কোমল অনিচ্ছার বাগানেযাকে শুধু লুকিয়ে রাখাতেই সুখ , নিজের নিভৃতে রেখেগোপনে পোড়াতেই একান্ত পাওয়া ।
দুটি চোখ মনে আছে, আর কিছু নেই…
আমার বয়স যেন সভ্যতার সমান
নিদ্রার সম্মোহনে ফিরে গেলে তুমি খুলবে পোশাক
স্নানঘরে জলের শব্দ হবে, ভেজা চুলে খেলবে এক
বাতাশের দারুন কিশোরী।
এলবামে স্মৃতি নেই বলে
আদৌ দুঃখ করিনা,
সোনালি নিসঙ্গতায় আমার
বিচিত্র দুঃখের সমাবেশ সঞ্চয় – ।
শেষমেশ যে যার সন্ধার কাছে ফিরে যায়,
যে যার অন্ধকারের কাছে।
কেন এলে বলো বেশতো ছিলাম
শুধু শুধু করাঘাত করলে চেতনায়
বড়ো অবেলায় এলে – বড়ো অবেলায় ।
নিজেকে নিয়ে আছি, নিজে নিজে আছিনা-পাওয়া ব্যথার আছে উদ্ধার,
পাওয়ার বেদনা প্রতিকারহীন।
এমন কি ভালোবাসাও
ইদানীং আমাকে আর
ভালোবাসে না।
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব!
কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা!
কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা!
এবং জন্ম মানেই মৃত্যুর প্রতি অমােঘ যাত্রা
প্রেম দুর্বোধ্য, নারী দুর্বোধ্য
এবং তুমিও তোমার
প্রেমের মতোই দুর্বোধ্য।
ছুঁয়ে দাও।
আমি ভাসমান মগ্ন মেঘেদের মতো ঝ’রে পড়ি
বৃষ্টির পালক।
পুষ্পিত হাতে ডাক দিয়েছি, আসবে না কেন!
তোমরা কি প্রত্যেকেই অভিনয় করো?
এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি…
ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায় ,
আমার কাছেই সকল কথা
অন্তরঙ্গ বলছি একা
এমনি ভাবে বলেই যাব।।
আমার প্রকৃত ক্যানভাসে , তোমার স্কেচ আঁকা ছিলো
অথচ তুমিই থাকোনি আমার হয়ে ।
যে পায় সে পেয়ে যায় – বাকিরা হারায়।
আমার বসন্ত আছে
আমার কোকিল আছে
শুধু কৃষ্ণচূড়া নেই।
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে – আছে।
গুটিয়ে যাচ্ছি শামুকের মতো দ্রুত।
স্মৃতি ও স্বপ্ন বুকের ভেতরে রেখে,
খোলা চারদিক বর্মে নিয়েছি ঢেকে।
তবু বেঁচে আছি প্রানপনে
অন্তত কিছুদিনের জন্য
একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গেছি
নিসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না।
তোমার কাছে পৌঁছাতে আমার এক যুগ কেটে গেল।
প্রচুর দূরত্ব হয়ে আছো
সুন্দর রক্তাক্ত হও। তিক্ততায় ভেঙে পড়ো । কাঁদো।
না হলে কখনো তুমি কবির বেদনা বুঝবে না।
আমি সেই অবহেলা , আমি সেই নতমুখ ,
নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান – ভেজা চোখ , আমাকে গ্রহন করো ।
দু একটা গোপন চুমুর স্মৃতি তুমিও লুকিয়ে রাখো,
কে না রাখে!
অভিমান ভালোবেসে তোমায় ভুলতে গিয়ে তোমাকেই নির্মান করেছি॥
শরীর বেচি শোনো ভদ্রলোক,
রাতের নায়ক যারা–
তারাই দিনের বিচারক।
পেতে চাই লোভ-ঘৃনা-ভালোবাসা-হিংসাসহ জটিল তোমাকে।
আধখানা স্বপ্নে আছি ,আধখানা শ্রমে
আধখানা প্রেমে আর আধেক অপ্রেমে।
কারো জন্যেই তো কেউ অপেক্ষা করে না’
যে যার মতোন ব’য়ে যায়-
যেতে যেতে আমিও পৃথক হয়েছি, হয়েছি আলাদা মানুষ
আলাদা ভুবন-
ব্যথায় কাঁদিনি কখনো কেঁদেছি বেদনার সুখে ।
আর কতো রাত কাটবে এভাবে এই অর্থহীনতায়
ক্লান্ত গোলাপ
এখন আমার বিস্তৃতি চাই, নিভৃতি চাই,
এখন আমার পরানে চাই দখিন হাওয়া।
পাতা ফুল খেয়ে গাছকে চিনতে পারিনি
এতটুকু দেখে কীভাবে তোমায় চিনবো !
কিছু দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে থাকবে বুকে
কিছু অশ্রু থেমে থাকবে চোখের নিকটে
ঝরাবে না শিশির।
তুমি জানিবে, আমি জানিব
এ প্রেম শুধু তোমার আমার।
আমরা কি কোনোদিন আর কোনো কথা বলবো না?
বুকের ভেতরে প্রতিবাদ নিয়ে একা একা পুড়ি অতন্দ্র–
মাধবী কাল চ’লে যাবে।
ওর হাতে ফুলগুলো তুলে দিয়ে বললাম
‘তুমিও কি ফুল হয়ে ঝ’রে যাবে?’
নীল অভিমানে পুড়ে একা আর কতোটা জীবন?
কতোটা জীবন!!
শরীরে অধঃপতন ভেতরে বাড়ছে প্রেম অনন্ত অভাব।
কেউ কি ভেবেছিলাে এতাে সহজে সব কিছুই
স্মৃতি হয়ে যাবে, অতীত হয়ে যাবে!
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবোধক রেখা !
চলো স্বপ্ন মিলাই।
প্রত্যাখ্যান দিয়েছো যখন
কিছুটা প্রত্যাশা রেখে যাও,
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকিনা কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
নিরবতা কোনো এক উদাসিন পাথরের নাম –
জোস্নার গন্ধে ভরা রাতে আকাশের হলুদ ছায়ায়
আমি আজীবন খুঁজে যাব তোমাকে ।
বন্ধুরা সব বিত্তে বাড়ে , চিত্তে বাড়ে
বাড়ে শনৈঃ গৃহস্থালি ,
আমার তবু বয়স হয় না , বুদ্ধি হয় না ।
আমার এখন সমস্তটাই স্মৃতিসৌধ,
আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে !
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে।
নেই। কেউ নেই-
তুমি তারে প্রেম দাও, বিরহ অনল দাও–উপেক্ষা দিও না ।।
বিজন রাত্রি তছনছ ছোটে, ভীত হরিনের ঝাঁক
জীবনে যতোটা প্রয়োজন আছে
ততোটুকু নাও , ততোটুকু রাখো
তার বেশি নয় কিছু ।
তবে কি জীবন বেশি নির্মম নিয়মে বাঁধা?
কষ্ট পেতে পেতে
তুমি প্রতিদিনের সূর্যের মতো
স্পষ্ট হয়ে ওঠো।
তুমি নেই, কোথাও তোমার ছায়া নেই, ঘ্রান নেই।
কিছু থেকে যাবে মৃত্যুরও পরে – কেউ জানবো না।
আমি দূরে যাই –
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা – চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে..
দুজনেই জেনেছি দুজন দ্যাখা হবে, একদিন দ্যাখা হবে কোথাও,
কোথাও দ্যাখা হবে- কোথাও কোথায়?
দূরত্বের কাঁচে ঠেকে ফিরে আসছে আঙুল।
আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারছি না,
আমার এখন ছুটতে হবে অনিশ্চিতের পথে,
আমায় এখন ছুটতে হবে রোদের বিপরীতে।
দূর থেকে যারে মনে হয়েছিলো ভীষন কঠিন
আসলে সে তার সবটুকু জুড়ে ছিলো সরলতা।
একদিন তোমার সমস্ত বুকে আমার সাম্রাজ্য ছিলো
একদিন আমার সাম্রাজ্যের তুমিই অধিস্বরী ছিলে।
যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,
পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।
আজো আমার বোধ হলো না
ভেতরে নীল ক্রোধ হলো না
পরান-গলা রোধ হলো না –
এতো কাছে যার বসবাসখানা, এতোটা নিকটে
এতো চিৎকারে ডেকেছি তবু সে শোনেনি কিছুই,
আমি তো কাছেই আছি
দুয়োরের কাছে, ওই উদাসিন ভিক্ষুর মতো গভীর
একাকি
আমি এই বিষন্ন পৃথিবী নিয়ে একা একা ফিরে যাবো গভীর নেশায়
কোনদিন আসবোনা আর , কোনদিন আসবোনা আর …
আজো দেখি ভালোবাসা ফিরে যায় ঘৃনার ছোবলে।
পেয়েছে যে তার হারাবার ছাড়া কোনো ভয় নেই আর..
এটা প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয়
শুধু এক শব্দহীন সবল অস্বীকার।
শূন্যতার দিকে চোখ, শূন্যতা চোখের ভেতরেও।
আমার স্নায়ুর সকল ইচ্ছা দিয়ে
তোমাকে চাইছি হৃদয়ের কাছে পেতে ।
শুধু অভিনয়,
শুধু কথার মুখোশ, চমৎকার, বনেদি মসৃন।
রাতের খুব কাছাকাছি নিসঙ্গতা আর আমি
মুখোমুখি বোসে আছি কথাহীন নির্বাক।
কেউ আসছে না। না স্বপ্ন, না ঘুম, কেউ নয়।
যেদিকে যাই , যেদিকে ফিরি
স্মৃতি কিংবা ভবিষ্যতে ,
আমার এখন তোমাকে চাই ।
তোমাকে জিততে হবে
মনে রেখো ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে!
ছিঁড়তে গেলেই স্মৃতি উঠে আসে শিকড়ের সাথে, পালাতে পারি না লতা টেনে রাখে অন্তর্মূল-
যা কিছু হারায় তার কতোটুকু খুঁজেছে মানুষ!
কতোটুকু পেয়েছে মানুষ!
যদিও জেনেছি চোখ মুছলেও মুছবে না জল
যাবে না জলের স্মৃতি ।
কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
কী বিভৎস এই ভালোবাসাহীনতা !
কী নির্মম এই স্বপ্নহীনতা !
স্মৃতিগুলো ডাস্টবিনের জঞ্জাল
আর আমিই অনুসন্ধানরত
আজীবন ডাস্টবিনের ব্যর্থ কাক ।
সঞ্চিত বারুদ বক্ষে তবু প্রয়োজন ছাড়া জ্বলি না কখনো ।
বোধের গোড়ায় ঢেলে কাড়ি কাড়ি জল
একটিও তাজা ফুল ফোটানো গেলনা ।
অথচ জলার ধারে কতো ফুল ফোটে,
একটিও ফুল তার বাঁচানো গেলনা ।।
আমার কোথাও ফিরে যাওয়া নেই
কারা যে কি ভেবে উঠে পড়েছিলো কারো আজ মনে নেই,
সৌভাগ্যের দূর-যাত্রায় স্বপ্নের মরীচিকা
টেনে এনেছিলো হয়তো এদের- আজ হারিয়েছে খেই।
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
পেছন থেকে তুমি পুরোনো প্রেমের স্বরে
ডাকলেও আমি তাকাবো না আর ভালোবাসা।
বহুদিন ধ’রে খুঁজছি এখনো আজো
একজন বিশ্বাসী মানুষ খুঁজছি-
বড়ো একাকি আছি।
মনে হলো একবার
তুলে এনে রাখি তারে বুকের নিকটে।
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে – আছে।
যাকে কোনোদিন কেউ রাখেনি কোনো গৃহের আশ্রয়ে
ভালোবেসে বুকে নিয়ে চিরকাল তাকেই বলেছি প্রেম
প্রিয়তম তীর্থভূমি।
মনে হয় একদিন কাক – জোস্নায় তুমিও দরােজা খুলে ফিরে আসবে।
শূন্যতা ছোঁয়, অপূর্নতার বাউল রাতে
কান্দে শরীর-
তোমার শুন্যতা ঘিরে দীর্ঘশ্বাস , বেদনার ঘ্রাণ ,
তোমার নাথাকা জুড়ে জেগে থাকে সহস্র শ্মশান।
আমাকে কোথায় যেতে হবে
কোন দিকে
রাতের সুতীব্র স্রোত হুহু কোরে টেনে নিয়ে যায় ,
ফিরে এসো নিশ্চয়তা , ফিরে এসো রোদের সকাল ।
তোমাকে অনুবাদ করেছি স্বপ্নে।
তোমাকে অনুবাদ করেছি তৃষ্ণায়।
তোমাকে অনুবাদ করেছি উদাসিনতায়।
ইচ্ছাকৃত ভুলে ফেলে রেখে গেছি আমার বকুল
ভুলে ফেলে গেছি ভেবে ফিরিয়ে দিও না।
কেউ দেখবে না, তুমি কাঁদো কবি, কাঁদো
কেউ জানবে না তুমি কষ্ট পাও কবি
কেউ ছোঁবে না তোমাকে, তুমি তো পাথর।
কথা কি শেষ হয়ে যায়- সব কথা?
এইভাবে অপেক্ষাহীন প্রতীক্ষায় বোসে থাকবো –
কিছু বলার ছিলো তবু
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবো্ধক রেখা !
গুটিয়ে যাচ্ছি শামুকের মতো দ্রুত।
স্মৃতি ও স্বপ্ন বুকের ভেতরে রেখে,
খোলা চারদিক বর্মে নিয়েছি ঢেকে।
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।
চলে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চলে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভুবনে আছো।- এ কেমন ভ্রান্তি আমার!”
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক।
কিছুটা তো চাই- হোক ভুল হোক মিথ্যে প্রবোধ,
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই
কিছুটা তো চাই, কিছুটা তো চাই।
আশা করি আপনাদের এই রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ উক্তি পছন্দ হয়েছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের বাকি পোস্টগুলো পড়তে ভুলবেন না। “ধন্যবাদ”
Tags:
উক্তি